ইন্দোনেশিয়া

হিজাব ঠিকভাবে না পরায় মাথা কামিয়ে দেওয়া হলো ১৪ ছাত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৩
প্রতীকী ছবি

হিজাব ঠিকভাবে না পরার অভিযোগে মাথা আংশিক কামিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৪ ছাত্রীর। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার লামোঙ্গান শহরে। স্কুলটির প্রধানশিক্ষক নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপির।

বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ ইন্দোনেশিয়া। অধিকারকর্মীদের অভিযোগ, রক্ষণশীল দেশটিতে বছরের পর বছর মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম মেয়েদেরও হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে স্কুলগুলোতে এ ধরনের বাধ্যতামূলক ড্রেস কোড নিষিদ্ধ করে ইন্দোনেশীয় সরকার।

আরও পড়ুন>> হিজাব না পরা নারীদের শনাক্তে ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জুনিয়র হাই স্কুল এসএমপিএন ১-এর প্রধান শিক্ষক হার্তো জানিয়েছেন, গত বুধবার স্কুলটির এক শিক্ষক ১৪ জন মুসলিম ছাত্রীর চুল আংশিক কামিয়ে দিয়েছেন।

প্রধানশিক্ষক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি জানান, ওই ১৪ ছাত্রী হিজাবের নিচে টুপি না পরায় তাদের চুলের ডগা দেখা যাচ্ছিল। এ কারণে তাদের সাজা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

আরও পড়ুন>> ভারতে হিজাবপরা ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা, প্রতিবাদ করায় ছাত্রকে মারধর

হার্তো বলেন, ছাত্রীদের হিজাব পরার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে পরিচ্ছন্ন দেখাতে ভেতরে টুপি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

প্রধানশিক্ষক আরও বলেন, আমরা অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং আলোচনার পর বোঝাপড়ায় পৌঁছেছি।

ভুক্তভোগী ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় মানসিক সহযোগিতা দেওয়ার ব্যাপারে স্কুলের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবি তুলেছে অধিকার সংগঠনগুলো।

আরও পড়ুন>> হিজাবের পর ফ্রান্সের স্কুলে নিষিদ্ধ হচ্ছে বোরকাও

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইন্দোনেশিয়া বিষয়ক গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, লামোঙ্গানের ঘটনাটি সম্ভবত ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনা। সেখানে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়া কোনো শিক্ষককে কখনো নিষিদ্ধ করা হয়নি। লামোঙ্গানের শিক্ষা দপ্তরেরর উচিত এই শিক্ষককে নিষিদ্ধ করা, অন্ততপক্ষে তাকে স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং ভুক্তভোগীদের ট্রমা মোকাবিলায় মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করা।

২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে সংগঠনটি জানিয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ায় ঠিকভাবে না পরার কারণে কিছু স্কুলছাত্রীর হিজাব কেটে দেওয়া হয়েছিল। আর হিজাব না পরার কারণে জরিমানা অথবা বহিষ্কারের মুখে পড়েছিলেন আরও কয়েক ছাত্রী।

সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।