কারাগারে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে সন্তুষ্ট ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান পাঞ্জাবের অ্যাটক জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। গত ৫ আগস্ট তাকে এখানে আনার পর থেকেই তার স্ত্রী ও দলীয় নেতারা অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন যে, ইমরান খানকে প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তবে শেষমেশ তার প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ইমরান খানের জন্য পশ্চিমা ধাঁচের টয়লেট, বেসিন, সাবান, টিস্যু ও তোয়ালেসহ একটি নতুন ওয়াশরুম ও অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিস সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এতে সন্তুষ্ট হয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন ইমরান।
রোববার (২৭ জুলাই) পাঞ্জাবের কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) মিয়া ফারুক নাজির ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র কারাগারভবনে নিয়ে এসেছিলেন।
অ্যাটোক কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পিটিআই প্রধানকে জেল আইন অনুযায়ী একটি বিছানা, বালিশ, গদি, চেয়ার ও এয়ার কুলার (এসি) দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ইমরান খানকে একটি ফ্যান, প্রার্থনা কক্ষ, ইংরেজি অনুবাদসহ পবিত্র কুরআন, বই, সংবাদপত্র, থার্মোফ্লাক্স, খেজুর, মধু, টিস্যু পেপার ও সুগন্ধিও দেওয়া হয়েছে। এগুলোর সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া ইমরান খানের স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল নিয়োগ করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন আট ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিদিন তাকে বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হবে ও সরবরাহকৃত খাবার একজন চিকিৎসক পরীক্ষা করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। সেদিনই হাইকোর্টে দাখিল করা এক এভিডেভিটের মাধ্যমে তিনি জানান, ইমরান খানের স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি ঘটেছে ও ওজন কমে গেছে। বিশেষ করে তার দুই বাহুর পেশী চিকন হয়ে গেছে।
‘৭০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের এমন অবনতি জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এজন্য মাননীয় আদালতের প্রতি ইমরান খানের স্বাস্থ্য ও প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেওয়ার অনুরোধ রইলো।’
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছর কারাদণ্ডের রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার। রায় ঘোষণার পরপরই ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এ নেতাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এসএএইচ