পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে ওয়াগনার প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৩

রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান হলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। গত জুনে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর থেকে আর দেখা যায়নি তাকে। অবশেষে সেই বিদ্রোহের পর প্রথমবার ভিডিও পোস্ট করলেন তিনি। সেই সঙ্গে এই বিদ্রোহী নেতার ইঙ্গিত তিনি আফ্রিকায় রয়েছেন।

ওয়াগনার গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ওই ভিডিওটি পোস্ট হয়েছে। ভিডিওতে প্রিগোজিনকে বলতে শোনা গেছে, আফ্রিকাকে আরও মুক্ত করতে ও সব মহাদেশেই রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি করতে তিনি এখানে। ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান যে আফ্রিকায়, তা অবশ্য বোঝা গিয়েছিল গত মাসেই। তখনই তিনি একটি বার্তা দেন। বার্তায় নাইজারে সেনা অভ্যুত্থানের সমর্থনে যুক্তি দিতে দেখা যায় তাকে।

আরও পড়ুন>৯০০ ফুট ওপরে আটকা ক্যাবল কার থেকে দুই শিশু উদ্ধার, চলছে অভিযান

তার দাবি, নাইজার পশ্চিমের উপনিবেশকারীদের দখল থেকে মুক্ত হয়েছে। সরাসরি অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও বিদ্রোহী সেনাদের মদত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তারও আগে জুন মাসেই এক বার্তায় নিজের সেনাদলকে নতুন আফ্রিকা অভিযানের জন্য তৈরি থাকার কথা বলেছিলেন প্রিগোজিন।

গত জুন মাসে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। পরে অবশ্য জানা যায়, লড়াই থামিয়ে বেলারুশে ঘাঁটি গেড়েছেন ওয়াগনার প্রধান। শোনা যায়, পুতিনের সঙ্গে নাকি বোঝাপড়াও হয়ে গেছে তার।

আরও পড়ুন>মাউইতে ভয়াবহ দাবানল, এখনো নিখোঁজ ৮৫০

মস্কো আগেই জানিয়েছিল, মালিতে যেভাবে কাজ করছিল ওয়াগনার সেভাবেই কাজ চলবে।

আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশ যেমন–সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মালি, লিবিয়া, সুদানে সক্রিয় ওয়াগনার বাহিনী। সিরিয়াতেও আসাদ সরকারের হয়ে লড়ছে ওয়াগনার।

এমএসএম

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।