রাশিয়ায় ঢুকে সুপারসনিক বোমারু বিমান ধ্বংস করলো ইউক্রেন
রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে একটি সুপারসনিক বোমারু বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনের ড্রোন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের দক্ষিণে সোলটসি-টু বিমানঘাঁটিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট্ট একটি ড্রোনের আঘাতেই বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। টিইউ-২২ সুপারসনিক বম্বার শব্দের চেয়েও দ্বিগুণ গতিতে ছুটতে পারে। ইউক্রেনের শহরগুলোতে আক্রমণ করার জন্য এই বিমানটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
এদিকে ধ্বংস হওয়া টিইউ-২২ সুপারসনিক মূলত স্নায়ু যুদ্ধকালীন বোমারু বিমান। ইউক্রেন ছাড়াও এগুলো সিরিয়া, চেচনিয়া ও জর্জিয়ার যুদ্ধেও ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এর আধুনিক সংস্করণগুলো হলো—মাছ-২, যা ঘণ্টায় ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং ২৪ হাজার কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে।
এদিকে, এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কপ্টার ধরনের একটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। হামলার আগেই ড্রোনটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন এয়ারফিল্ডের পর্যবেক্ষকেরা। সেটিকে প্রতিহত করার চেষ্টাও করেন তারা। তারপরও এটি আঘাত হানে। তবে এ ঘটনায় এবং একটি বিমান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো ক্ষয়-ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে আগুনটিকে অনেক বড় মনে হয়েছে। এতে একটি বিমান ধ্বংস হলেও তা ক্ষতির দিক থেকে খুবই কম। কারণ এই বহরে রাশিয়ার ৬০টি বিমান রয়েছে। তবে, হামলাটি রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে হওয়ায় তা ইউক্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত কয়েক মাসে ইউক্রেন এ ধরনের মনুষ্যবিহীন ড্রোন দিয়ে কয়েক শ মাইল দূরে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতেও বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ হামলার স্থানটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ