বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় তথ্য দেওয়াই বন্ধ করে দিলো চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রকাশই বন্ধ করে দিয়েছে চীন। যদিও চীনা সরকারের দাবি, সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিবিসির খবরে জানা যায়, গত জুন মাসে চীনের শহরগুলোতে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২০ শতাংশের বেশি বেড়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।

আরও পড়ুন>> বিশ্বজুড়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও চীনে কেন কমছে?

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশিত সরকারি তথ্য বলছে, জুলাই মাসে চীনে সার্বিক বেকারত্বের হার বেড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তরুণদের বেকারত্বের হার সংক্রান্ত তথ্যপ্রকাশ আপাতত বন্ধ রাখা হবে। তবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুন>> চীনে তরুণদের চাকরি ছাড়ার হিড়িক, নেপথ্যে কী?

চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মুখপাত্র বলেছেন, তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।

বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফু লিংহুই বলেন, অর্থনীতি ও সমাজ ক্রমাগত উন্নত এবং পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই পরিসংখ্যানগত কাজের ক্ষেত্রেও উন্নতি প্রয়োজন।

চীনে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া বেকারত্বের হারকে প্রভাবিত করেছে বলে স্বীকার করেছেন এ কর্মকর্তা। তবে দেশটি কখনোই শিক্ষার্থীদের বেকার হিসেবে গণ্য করে না।

আরও পড়ুন>> যৌন হয়রানি এড়াতে মেয়েদের ‘আবেদনময়ী আচরণ’ না করার পরামর্শ চীনে

 ২০১৮ সাল থেকে তরুণ বেকারদের পরিসংখ্যান প্রকাশ শুরু করেছিল চীন। তবে গ্রামাঞ্চলে তরুণ বেকারত্বের হার কত, তা প্রকাশ করা হয়নি।

তরুণদের বেকারত্বের তথ্যপ্রকাশ বন্ধের ঘোষণার পরপরই চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইবোতে ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে বিষয়টি।

আরও পড়ুন>> বিদেশিদের জন্য সহজ হলো চীনের ভিসানীতি

সেখানে একজন বলেছেন, মুখ ও চোখ বন্ধ করলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? মাত্র এক ঘণ্টা কাজ করার মানে হলো, আপনি বেকার নন। তাই পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন না।

সরকারকে কটাক্ষ করে আরেকজন লিখেছেন, ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কেউ বেকার নয়।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।