আর্জেন্টিনায় প্রাথমিক ভোটে জয়ী হ্যাভিয়ার মিলেই
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের অক্টোবরে। এর আগে প্রাথমিক এক ভোটে জয়ী হয়েছেন তুলনামূলক কম আলোচিত কট্টর ডান ও উদারপন্থি নেতা হ্যাভিয়ার মিলেই। রোববার (১৩ আগস্ট) এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
এ ভোটের ফলাফল আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে করা সব ধারণা পাল্টে দিয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, দেশটির ভোটাররা প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্যের কারণে ভোটাররা প্রথাগত দল ও প্রার্থীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশ বন্ধুত্বে বাণিজ্যের পালে নতুন হাওয়া
প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যায়, হ্যাভিয়ার মিলেই মোট ভোটের ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, ডানপন্থি ও রক্ষণশীল প্রার্থী প্যাট্রিশিয়া বুলরিখ (৬৭) ও বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী সের্জিও মাসা (৫১) যথাক্রমে ২৮ ও ২৭ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
আল জাজিরা বলছে, এ ভোটের মাধ্যমে দেশটির ভোটাররা ক্ষমতাসীন ও বিরোধী জোট উভয়কেই প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশে বিদ্যমান ১১৬ শতাংশ মুদ্রাম্ফীতি ও জীবনযাত্রার ঊর্ধমূখী ব্যয় দেশটির প্রতি ১০ জনের মধ্যে চারজনকে অভাবের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। ফলে দেশটির তরুণদের মধ্যে মিলেইর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
ফলাফল জানার পর এক বক্তৃতায় মিলেই বলেন, আমরাই প্রকৃত বিরোধীদল। সবসময় ব্যর্থ হতে থাকা পুরনো নেতৃত্ব দিয়ে নতুন আর্জেন্টিনা পাওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে আগুন, অন্ধকারে অর্ধেক আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার নির্বাচন প্রক্রিয়া বেশ আলাদা। রোববারের ভোটে ভোটাররা ২২ জন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থেকে তাদের পছন্দের ৩ প্রার্থী চিহ্নিত করেন। এরপর ২২ অক্টোবর প্রথম রাউন্ড ও প্রয়োজনে ২৯ নভেম্বর দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট হবে।
প্রাথমিক ভোটে ৩ কোটি ৫৪ লাখ মানুষের অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। দেশটির বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক ও প্রত্যেকে একটি করে ভোট দিতে পারেন। প্রাথমিক ভোটের ফলাফলকে সাধারণ নির্বাচনের ফলের প্রায় সঠিক পূর্বাভাষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কাকার
আর্জেন্টিনা সয়া, ভূট্টা ও গরুর মাংসের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর অন্যতম। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন দেশটির বিশাল কৃষিখাত বিষয়ক নীতি নির্ধারণ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির উপর প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ