মোবাইল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৩
প্রতীকী ছবি

সরকারি প্রকল্পের অধীনে ফ্রিতে মোবাইল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজস্থানের পাবলিক হেল্থ ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের বয়স ৩৫ বছর।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানিয়েছে, পানি সরবরাহ বিভাগের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করা ওই ব্যক্তি মোবাইল দেওয়ার কথা বলে একটি গাড়িতে করে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন>এক ফুট লম্বা দাড়ি! বিশ্বকে চমকে দিয়ে বিশ্বরেকর্ড তরুণীর

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে পানি সরবরাহ বিভাগরে প্রধান গেটের সামনে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। এ ধরনের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

যদিও পিটুনি দেয়ে তাকে ছেড়ে দেয় স্থানীরা। তাকে পুলিশের হাতেও দেওয়া হয়নি। ফলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি।

পরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী রাজ্যের করাউলি জেলার তোদাভীম থানায় অভিযুক্ত ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তার নাম সুনিল কুমার জাঙ্গিদ।

পুলিশ জানিয়েছে, ১০ আগস্ট ওই কিশোরী বাড়িতে একাই ছিল। কারণ তার মা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে ছিল। অন্যদিকে বাবা ছিল জয়পুরে।

আরও পড়ুন>প্রতিদিন ৪০০০ ধাপ হাঁটলে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমে : গবেষণা

সাওয়াই মাধোপুর জেলার গঙ্গাপুর সিটি তহসিলের কুনসে গ্রামের বাসিন্দা সুনীল কুমার জাঙ্গিদ ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে জানায়, সরকার বিনা খরচে মোবাইল ফোন দিচ্ছে এবং তার নাম ওই প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। এ সময় ওই কিশোরীকে বলা হয় দ্রুত ফোনটি পেতে হলে তার সঙ্গে গাড়িতে যেতে হবে। এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

এদিকে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ করার হচ্ছে অভিযুক্তকে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।