এক ফুট লম্বা দাড়ি! বিশ্বকে চমকে দিয়ে বিশ্বরেকর্ড তরুণীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

মুখভর্তি লম্বা দাড়ি দিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন মার্কিন তরুণী এরিন হানিকাট। বর্তমানে বিশ্বে জীবিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা দাড়ির মালিক তিনি। সম্প্রতি এ বিষয়ে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও পেয়েছেন এরিন।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান শহরের বাসিন্দা এরিন হানিকাট। মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রথমবার শারীরিক তথা সামাজিক অস্বস্তির মধ্যে পড়েন। মুখে ‘ছেলেদের মতো’ দাড়ি গজাতে শুরু করে কিশোরী এরিনের।

আরও পড়ুন>> জোরে ঢেকুর তুলে গিনেস বুকে নাম লেখালেন তরুণী

শুরুতে নিয়মিত মুখের পশম তুলে ফেলতেন। ওয়াক্সিং করতেন, হেয়ার রিমুভাল লোশন ব্যবহার করতেন। কখনো কখনো দিনে তিনবার পর্যন্ত দাড়ি শেভ করেছেন তিনি।

কিন্তু একবার উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখে স্ট্রোক হয় তার। এরপরেই দাড়ি কাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তাকে উৎসাহ দেন ‘স্ত্রী’ জেন।

jagonews24

ফলে দিনে দিনে বাড়তে থাকে এরিনের দাড়ির দৈর্ঘ্য। একপর্যায়ে তা ভেঙে দেয় পুরোনো বিশ্বরেকর্ড। প্রায় এক ফুট লম্বা দাড়ি হয়েছে এরিনের। সঠিক হিসাবে দিলে ১১ দশমিক ৮১ ইঞ্চি।

আরও পড়ুন>> হাই হিল পরে দ্রুততম ১০০ মিটার, গিনেস বুকে স্প্যানিশ যুবক

তিনি ৭৫ বছর বয়সী ভিভিয়ান হুইলারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। ভিভিয়ানের দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল ১০ দশমিক ০৪ ইঞ্চি। অর্থাৎ এরিনের দাড়ি ১ দশমিক ৪ ইঞ্চি বেশি লম্বা। সে কারণেই নতুন বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়েছেন তিনি।

তাই বলে একজন মেয়ের মুখে দাড়ি হওয়া নিয়ে কি কটাক্ষের স্বীকার হননি? এরিন জানিয়েছেন, পরিবার পাশে থাকায়ই সেসব কটাক্ষ-কটূক্তিকে অতিক্রম করতে পেরেছেন। তার কথায়, আমি আমাকে নিয়ে খুশি।

৩৮ বছর বয়সী এরিনের মুখে দাড়ি হওয়ার জন্য দায়ী ছিল মূলত পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)। এটি হলে মানবদেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বৃদ্ধি, বন্ধ্যাত্ব এবং অতিরিক্ত চুল বা পশম বাড়তে দেখা যায়।

আরও পড়ুন>> ৫৪ বছর পর স্নাতক পাস করলেন ‘বিশ্বের ধীরতম শিক্ষার্থী’

তবে পিসিওএসে আক্রান্ত হওয়াই এরিনের জীবনে একমাত্র চ্যালেঞ্জ ছিল না। ২০১৮ সালে এক দুর্ঘটনায় পায়ে গ্যাংগ্রিন হয় তার। ফলে বাম পায়ের অর্ধেকটা কেটে ফেলে দিতে হয় তাকে।

এছাড়া চোখে স্ট্রোক হওয়ার পর আংশিক দৃষ্টিশক্তিও হারান। এরপরও হতাশ হননি, কিংবা জীবনযুদ্ধে থেমে থাকেননি এরিন হানিকাট।

চিকিৎসক এরিনকে বলেছিলেন, তিনি যদি ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করেন তাহলে তিন শতাংশ দ্রুত সেরে উঠবেন। সেই কথার ভিত্তিতেই ‌‘বিশ্বের সবচেয়ে ইতিবাচক মানুষ’ হয়ে উঠেছেন বলে দাবি করেেছেন এ তরুণী। যদিও এটি কোনো গিনেস রেকর্ড নয়।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।