ভারতকে টেক্কা দিতে চাঁদের পথে রাশিয়া
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩-কে নিয়ে যখন আলোচনা থামছে না, তখন চাদের এই দৌড়ে শামিল হয়েছে রাশিয়াও। পাঁচ দশক পর তারাও চাঁদে নিজেদের ল্যান্ডার পাঠাচ্ছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে রাশিয়ার লুনা-২৫। তারও গন্তব্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর দিকেই এগোচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। রাশিয়ার দাবি, চন্দ্রযান-৩-এর সঙ্গে প্রায় একই সময়ে চাঁদে নামার কথা তাদের ল্যান্ডারেরও। সে ক্ষেত্রে কে দক্ষিণ মেরুতে আগে পৌঁছায়, কার অভিযান সফল হয়, তা এরই মধ্যে প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি করে ফেলেছে।
গত ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান। তার ২৮ দিন পর রাশিয়ার ল্যান্ডার উৎক্ষেপিত হলো। উৎক্ষেপণের দিন পাঁচেকের মধ্যেই চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে লুনা-২৫। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা আগামী ২৩ অগস্ট। ওই দিনই চন্দ্রযান-৩-ও চাঁদের মাটিতে নামতে পারে।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, উৎক্ষেপণের পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাবে লুনা-২৫। তারপর চাঁদের কক্ষপথ ধরে দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি পৌঁছাতে আরও পাঁচ থেকে সাত দিন সময় নেবে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখনো অনাবিষ্কৃত। এর আগে পৃথিবী থেকে চাঁদে যত অভিযান হয়েছে, সবই উপগ্রহটির উত্তর গোলার্ধে। দক্ষিণ মেরু চিরকালীন অন্ধকারে নিমজ্জিত। সেখানে সূর্যের আলো পড়ে না। পুরু বরফের চাদরে আচ্ছাদিত এই অংশ অত্যন্ত দুর্গম। সেই কারণেই এখন পর্যন্ত এখানে কোনো অভিযান সফল হয়নি। চার বছর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিংয়ের সময়েই ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২।
আরও পড়ুন>ইরানে আটক মার্কিন নাগরিকদের গৃহবন্দি
যদিও রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, ল্যান্ডিংয়ের সময় প্রায় একই হওয়া সত্ত্বেও ভারতের চন্দ্র অভিযানের পথে রুশ ল্যান্ডার কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। চন্দ্রযান-৩ ও লুনা-২৫-এর একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই।
চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর আগে যদি লুনা-২৫ সফলভাবে অবতরণ করতে পারে, তবে ইতিহাস তৈরি হবে। দক্ষিণ মেরুর সফল অভিযানের কৃতিত্ব সে ক্ষেত্রে যাবে রাশিয়ার দখলে।
এমএসএম