কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছেন স্ত্রী বুশরা বিবি
কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) উচ্চ নিরাপত্তাবেস্টিত পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে তাদের সাক্ষাৎ হয়। একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে ওই কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। এদিকে ইমরান খানের সঙ্গে বুশরা বিবির দেখা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী নায়িম হায়দার পাঞ্জুথা।
তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান (৭০) এবং তার স্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়েছে। তারা প্রায় আধা ঘণ্টা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বুশরা বিবি সেখানে আধা ঘণ্টা অবস্থান করেছেন। এদিকে বুশরা বিবি বলেন, খান সাহেব পুরোপুরি ভালো আছেন। কিন্তু তাকে নিম্নমানের সেলে রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আইনজীবী দলকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আমরা আগামীকাল এ বিষয়টি হাইকোর্টে উপস্থাপন করবো।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে রাখা হয়েছে পোকামাকড়ে ভরা সেলে
ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির (৪৮) বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) তাকে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান পাঞ্জুথা।
এর আগে পিটিআই-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, ইমরান খানের জীবন ঝুঁকির মুখে আছে। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি দাবি করেন, কারাগারে ইমরান খানের জীবন বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এমনকি সেখানে তাকে খাবারও দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন>> কোন অপরাধে তিন বছরের সাজা ইমরান খানের?
আদালত পিটিআই প্রধানকে আদিয়ালা কারাগারে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও তাকে অ্যাটোক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। ওই কারাগারে ‘বি ক্লাস’ সুবিধা দেওয়া হয় না। ইমরান খানের আইনজীবী দাবি করেন, তাকে যে সেলে রাখা হয়েছে তা পোকামাকড়ে ভরা এবং সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তৃতীয় শ্রেণির (সি ক্লাস) সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ রুপি জরিমানা করেন স্থানীয় একটি আদালত। এর পরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে ইমরান খানকে আদিয়ালা কারাগারে নেওয়ার আবেদন জানানো হলেও তাকে পাঠানো হয় কুখ্যাত অ্যাটক কারাগারে।
টিটিএন