আগে সীমানা নির্ধারণ, পরে নির্বাচন

আবারও সাংবিধানিক সংকটের মুখে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সাধারণ নির্বাচন। এর জন্য রয়েছে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও। কিন্তু সরকারের দাবি, সাংবিধানিক কারণেই ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে এই নির্বাচন।

সোমবার (৭ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, পাকিস্তানের সাধারণ স্বার্থ কাউন্সিল (সিসিআই) নতুন আদমশুমারি অনুমোদন করার পরে নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) নির্বাচনী এলাকাগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে সাধারণ নির্বাচন পরের বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন>> নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে সামরিক বাহিনী: ইমরান খান

জিও নিউজের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি নির্বাচনী এলাকাগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে হয়, তাহলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। তবে গত শনিবার সিসিআই সভায় ‘সর্বসম্মতভাবে’ নতুন ডিজিটাল আদমশুমারির অনুমোদন দিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

সভা শেষে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চারজন মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘সব’ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সম্মতিতে ২০২৩ সালের আদমশুমারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন>> কোন অপরাধে তিন বছরের সাজা ইমরান খানের?

সিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহ বলেন, আমার মতে, নতুন সীমানা নির্ধারণও একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সংবিধান অনুযায়ী একটি আদমশুমারির ভিত্তিতে দুটি সাধারণ নির্বাচন হতে পারে না। সংবিধানে আরও বলা হয়েছে, নতুন আদমশুমারির ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত হওয়ার পরেই নির্বাচনী এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণ করা হবে।

তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ২০২৩ আদমশুমারির ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন আপত্তি তুলেছিল রাজনৈতিক দলগুলো।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর জন্য কোনো নাম চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, এমকিউএম-পি এই পদের জন্য [সিন্ধের গভর্নর] কামরান টেসোরির নাম প্রস্তাব করেছে। জোটের আরেক অংশীদার পিপিপি-ও একটি বা দুটি নাম দেওয়ার আগ্রহপ্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন>> ইমরান খানের গ্রেফতার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র

একদিন আগেই পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সম্ভাব্য তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত তালিকায় সাবেক অর্থমন্ত্রী হাফিজ শেখের নামও রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত নাম মঙ্গলবার জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে ৯০ পরবর্তী দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ পাবে ইসিপি। সরকার যদি মেয়াদ পূর্ণ করে তিন দিন পরে, অর্থাৎ আগামী ১২ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তো, তাহলে নির্বাচন করতে হতো পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।