ইথিওপিয়ায় সেনাবাহিনী-মিলিশিয়া সংঘর্ষ, আমহারা অঞ্চলে জরুরি অবস্থা
ইথিওপিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল আমহারাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। সেনাবাহিনী ও স্থানীয় ফানো মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার (৪ আগস্ট) এ পদক্ষেপ নেয় দেশটির সরকার। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমহারার আঞ্চলিক সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অতিরিক্ত সহযোগিতার আবেদন করেছে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রচলিত আইন ব্যবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এ ঘোষণার ফলে সরকার জমায়েত নিষিদ্ধ, পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার ও কারফিউ জারি করতে পারবে।
গত সপ্তাহে অঞ্চলটিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ২০২২ সালের নভেম্বরে তাইগ্রে অঞ্চলে দুই বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের পর এ সংঘাত দেশটির গুরুতর নিরাপত্তা সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তাইগ্রেতে সংঘাত চলাকালে ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল ফানো মিলিশিয়ারা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে দুর্বল করার উদ্যোগ নিলে দুই পক্ষের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।
এদিকে, এ সংঘাতের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা আমহারা থেকে তাদের নাগরিকদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
গত এপ্রিলে ইথিওপিয়ার ১১টি অঞ্চলের নিরাপত্তা বাহিনীকে পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে একীভূত করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। তার ওই নির্দেশের পরই আমহারাজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, আমহারাকে দুর্বল করার জন্য এমন নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করতেই আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীতে একীভূত করার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ