পি কে হালদারকে নিয়ে ইডির তল্লাশি, কয়েক কোটি রুপির সম্পদ জব্দ
পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের মূল অভিযুক্ত পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদারের পশ্চিমবঙ্গের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ভারতের তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদারকে সঙ্গে নিয়ে অশোকনগর, ফরচুনা হাইট, বৈদিক ভিলেজের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করে। এছাড়া অশোকনগরের দক্ষিণ পল্লি ও আদর্শ পল্লিতে এ দুটি এলাকায় বাগান, বাড়ি, গরুর খাটালসহ প্রায় আট বিঘা জায়গায় নোটিশ টানিয়ে ও সিলগালা করে দিয়ে যায় ইডি।
আপাতত জায়গাগুলো ইডির হেফাজতে থাকবে। দুটি জায়গাই পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদারের নামে রয়েছে।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছর আগে এ জায়গা, বাড়ি দেখভালের দায়িত্ব পরিচিত একজনকে দিয়ে বর্ধমানের কালনায় চলে গিয়েছিলেন প্রাণেশ।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারে কি প্রভাবশালীরা জড়িত, উত্তর দিলেন না পি কে হালদার
ভারতের তদন্ত সংস্থা ইডির অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর নীরজ কুমার সিংয়ের (কলকাতা আঞ্চলিক অফিস - ২) স্বাক্ষর করা নোটিশে বলা হয়েছে, বাড়ি-জমি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কেউ ক্রয়, বিক্রয়, মর্টগেজ বা দান করতে পারবে না।
২০২২ সালের ১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ইডি। একই সময় গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের।
বর্তমানে অভিযুক্ত পি কে হালদারসহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে। একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
ডিডি/এমএইচআর