মিয়ানমার জান্তার ঘোষণা

সু চিকে আংশিক ক্ষমা করলো মিয়ানমার জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ০১ আগস্ট ২০২৩
ফাইল ছবি

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চির জন্য আংশিক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে জান্তা প্রশাসন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই কারাগারে বন্দি তিনি। শুধু সু চিকেই নয়, মোটমাট সাত হাজারের বেশি বন্দিকে ক্ষমা করেছে দেশটির সামরিক সরকার। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।

সম্প্রচারে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত অং সান সু চিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন>> সু চির মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময় সু চিসহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৯টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচার শুরু করে জান্তা সরকার।

তবে সামরিক আদালতে মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্য পর্যবেক্ষকদের কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। ফলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা জানায়।

এরপরও দফায় দফায় রায় ঘোষণায় মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত এ নেতাকে।

আরও পড়ুন>> নিবন্ধন না করায় রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ সু চির এনএলডি

সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহবন্দি থাকলেও অং সান সু চিকে গত বছর রাজধানীর একটি নির্জন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গত দুই বছর তার প্রায় কোনো খবরই পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও সামরিক বাহিনী এ তথ্য অস্বীকার করে।

মিয়ানমারে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। সেবার বিপুল ভোটে জয় পায় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। তবে, তিন মাস পরেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। জান্তার পক্ষ থেকে এনএলডির বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন>> গণতন্ত্র ফিরছে এশিয়ায়

সম্প্রতি নিবন্ধন না থাকার অভিযোগে সু চির দলকে রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে জান্তা নিয়ন্ত্রিত দেশটির নির্বাচন কমিশন।

(সংশোধনী: এই প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের সূত্র উল্লেখ করে শুরুতে অং সান সু চির পাশাপাশি মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট দুই বছরেরও বেশি সময় পর ছাড়া পেয়েছেন বলা হয়েছিল। কিন্তু ব্লুমবার্গ পরে তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে। এ কারণে প্রতিবেদনের এই অংশ এবং শিরোনাম সংশোধন করা হলো।)

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।