৩০ মিনিটের নোটিশে ছাঁটাই
এক বছর পর সাবেক কর্মীর দ্বারস্থ হতে হলো বসকে, সাধলেন টাকা
কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই মাত্র ৩০ মিনিটের নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। এক বছর পরে তার কাছেই অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথির জন্য ফিরতে হলো বসকে। জরুরি ওই নথিগুলো হারিয়ে ফেলেছে অফিস। এ কারণে সেগুলো ফিরিয়ে দিতে পারলে মোটা অংকের টাকাও সাধা হয়েছে সাবেক ওই কর্মীকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রেডিটে ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনা।
পোস্টের শিরোনামে সেই ব্যক্তি লিখেছেন, ৩০ মিনিটের নোটিশে আমাকে ছাঁটাই করার এক বছর পরে সাবেক বস জানতে চেয়েছেন, আমার কাছে তাদের পুরো কোম্পানির ডিরেক্টরির অনুলিপি রয়েছে কি না।
আরও পড়ুন>> বাড়িভাড়া বাঁচাতে প্লেনে চড়ে অফিসে যাতায়াত!
ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, আমাকে এক বছর আগে ছাঁটাই করা হয়েছিল। শিফট শেষ হওয়ার মাত্র ৩০ মিনিট আগে আমাদের পুরো ডিপার্টমেন্টকে ডেকে বলা হয়েছিল, পরের দিন থেকে আর আসতে হবে না। স্পষ্টতই, আমি রেগে গিয়েছিলাম। কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি।
গত রাতে আমি ওই বসের কাছ থেকে একটি মেসেজ পাই। তিনি জিজ্ঞেস করেন, আমি বাড়তি কিছু টাকা আয় করতে চাই কি না। আমি এখনো অসন্তুষ্ট। কিন্তু টাকা-পয়সার ব্যাপার। তাই হ্যাঁ বললাম। তিনি জানতে চান, আমি তাদের কোম্পানির পুরোনো ডিরেক্টরি (তথ্যমালা) নতুনটিতে স্থানান্তর করতে পারবো কি না।
আরও পড়ুন>> ভাড়াটিয়াকে ব্যবসার জন্য ১০ লাখ টাকা দিলেন বাড়িওয়ালা!
মূল বিষয় হচ্ছে, কোম্পানিটি সম্প্রতি তাদের অফিস অন্য রাজ্যে নিয়ে গেছে এবং আমাদের সবাইকে ছাঁটাই করার পরে আলাদা নামও নিয়েছে। কিন্তু স্থানন্তরের সময় পুরোনো ডিরেক্টরি সেভ করতে ভুলে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
ওই ব্যক্তি জানান, আমি ছিলাম তাদের কমপ্ল্যায়েন্স অফিসার। এখন নতুন রাজ্যে অফিসের অতীত নথিপত্রের প্রমাণ দেওয়ার জন্য আমাকে প্রয়োজন।
পোস্টটি শেয়ার হওয়ার পর তাতে মন্তব্য করেছেন বহু মানুষ। একজন কৌতুক করে লিখেছেন, ওদের বলুন, এই কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা লাগবে।
আরও পড়ুন>> রেস্তোরাঁয় বসে অনলাইনে অর্ডার, খাবার মিললো অর্ধেক দামে!
আরেকজন বলেছেন, আগে খোঁজ নেন তথ্যগুলো তাদের কাছে কতটা জরুরি। সেগুলো জমা না দিতে পারলে কত টাকা জরিমানা হতে পারে। তার ভিত্তিতে টাকা চান।
এত এত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক ওই কর্মী পরে জানিয়েছেন, অফিস যা ভাবছে, আসলে না নয়। আমার কাছে সেই নথিগুলো নেই। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর অবশ্যই সেগুলো আমার কম্পিউটার থেকে ডিলিট করে দিয়েছিলাম। আমি তাদের যে অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট হস্তান্তর করেছিলাম, কী কারণে জানি না তারা সেটিও ডিলিট করে দিয়েছে।
ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, আমি আমার ঘণ্টাপ্রতি বেতনের ১০ গুণ টাকা দাবি করে বলেছি, আমার যতটা জ্ঞান আছে, তা দিয়ে দেখি তাদের অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে পারি কি না। তারা আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। আমি একজন আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলেছি। আমার দিক থেকে সব ঠিকঠাকই মনে হচ্ছে। আর হ্যাঁ, আমাকে অগ্রিম পেমেন্ট করা হচ্ছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
কেএএ/