পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন

এবার সহিংসতার বলি তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে প্রায় এক মাস হলো। এর মধ্যেও ভোট পরবর্তী সহিংসতা ও অশান্তি থেমে নেই। এবার ভোট পরবর্তী সহিংসতার বলি হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিজয়ী সদস্য। এই ঘটনা ঘিরে চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অর্জনপুরে। নিহতের নাম মইমুর ঘরামী ওরফে ময়না, বয়স ৪০ বছর।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে বাড়ি ফিরছিলেন মইমুর। তখন মইমুরকে কয়েকজন দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে ঘিরে ধরে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে গুলি করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে।

ঠিক সে সময় মইমুর ঘরামী চিৎকার করেন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশী শাহজাহান মোল্লা নামে একজন ছুটে আসেন। তাকেও গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে শাহজাহান মোল্লা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর দুষ্কৃতিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মইমুর এবং শাহজানকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মইমুর ঘরামীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরদিকে শাহজাহান মোল্লার অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মইমুর ও শাহাজাহানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে মইমুরের বাড়ির সামনে একদল যুবক ঘোরাফেরা করছিল। বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন। সে সময় মইমুর বাড়ির বাইরে ছিলেন।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিখোঁজ ৪

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। ইতোমধ্যেই এদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এলাকায় চুরি এবং অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। ওই দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়ার কারণেই মইমুরের ওপর হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদের বিষয় উঠে এসেছে। তবে রাজনৈতিক বিবাদে এই খুন কি না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডিডি/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।