মমতার কোমরে দড়ি না পড়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: শুভেন্দু

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৪০ এএম, ১৬ জুলাই ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কোমরে দড়ি না পরানো পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।’ শনিবার (১৫ জুলাই) হাওড়ার আমতায় ভোটপরবর্তী সহিংসতায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সহিংসতার জন্য ভিডিও ও স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়ী করেন শুভেন্দু।

সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় হাওড়ার আমতা দুই নম্বর ব্লকের কাঁকরোল গ্ৰামে বিজেপির দুই প্রার্থী ঝুমা ও কল্পনা রায়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

পোড়া বাড়িতে দাঁড়িয়ে এ বিজেপি নেতা বলেন, এসব মানুষের অপরাধ তারা বিজেপি করে। এখানে আরেকটা বগটুই করতে চেয়েছিল। ভোট লুট হয়েছে, কাউন্টিং এজেন্টের ঢুকতে দেয়নি। প্রহসনের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে।

এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, মমতা ব্যানার্জীকে কোমরে দড়ি না পরানো অবধি এই লড়াই চলবে। এখানকার ক্ষতিগ্রস্তরা এক কাপড়ে রয়েছেন। তাদের খাওয়া-পরার জন্য ২০-২৫ হাজার রুপি দিয়ে গেলাম। আমরা বিজেপির পক্ষ থেকে বাড়ি বানিয়ে দেবো। বিডিওদের পরিণতি খুব খারাপ হবে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সাতদিনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে জয়পুর থানা ঘেরাও করা হবে।

বিরোধী দলনেতা বলেন, এক বিডিওকেও ছাড়া হবে না। আমরা সব তালিকা তৈরি করেছি।

এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট মামলা হয়েছে। উচ্চ আদালত নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করবেন বলে আশাবাদী শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক হিংসার শিকার পরিবারগুলোকে নিয়ে আগামী সোমবার কলকাতার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বিরোধী নেতা।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাওড়ার আমতায় কাঁকরোল গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক পরিবারকে ঘরের ভেতর আটকে বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরিবারটি কোনোক্রমে রক্ষা পেলেও বাড়িটি সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়। শনিবার সেসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।