৯৯৯-এ কল
‘নারীর চিৎকার’ শুনে ছুটে গেলো ৩ গাড়ি পুলিশ, মিললো টিয়া
প্রতিবেশীর বাড়ির ভেতর থেকে নারীর চিৎকারের মতো আওয়াজ আসছে শুনে পুলিশে ফোন করেছিলেন এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ তিন গাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। কিন্তু এসে তারা যা দেখেন তার জন্য হয়তো মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না।
পুলিশ দেখে, ঘটনাস্থলে কোনো নারী চিৎকার করছেন না। এমনকি ওই আওয়াজ কোনো মানুষেরও নয়। মূলত টিয়া পাখির ডাককে ভুল করে নারীর চিৎকার মনে করেছিলেন কোনো প্রতিবেশী। আর তা থেকেই এই বিভ্রান্তি। গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের এসেক্স কাউন্টিতে।
জানা যায়, ক্যানভে আইল্যান্ডের বাসিন্দা স্টিভ উড ২১ বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পুষছেন। তার সংগ্রহে বর্তমানে সবুজ ডানার ম্যাকাও, নীল-সোনালি ম্যাকাও, একটি হ্যানস ম্যাকাও, দুটি অ্যামাজন প্যারোট, আটটি ভারতীয় রিংনেক টিয়া ও বাজরিগার পাখি রয়েছে।
পাখিগুলো সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যার সময় বেশি ডাকাডাকি করে। তবে তিন বছর বয়সী ফ্রেডি নামের একটি টিয়ার জন্যই বেঁধেছিল ওই সমস্যা।
তার ডাকাডাকিকে নারীর চিৎকার ভেবে পুলিশের হেল্পলাইন ৯৯৯-এ কল করেন এক প্রতিবেশী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিন গাড়ি পুলিশ পাঠায় কর্তৃপক্ষ।
স্টিভ বলেন, আমি ভেবেছিলাম, হায় ঈশ্বর, আমি কী করেছি? আমি দরজা খুলে দেখি হাসিমুখে দুই পুলিশ কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে। তারা বললেন, আপনি চিন্তা করবেন না। আমি বললাম, আমি কী করেছি? তারা জানান, আমরা খবর পেয়েছিলাম, আপনার বাড়ি থেকে কোনো নারী সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। আমরা দেখতে এসেছি সব ঠিক আছে কি না।
পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবিষ্কার করেন, শব্দটি আসলে বেশ কয়েকটি টিয়া পাখির কারণে হচ্ছিল।
৫৪ বছর বয়সী স্টিভ আরও বলেন, পুলিশ ঠিক কাজই করেছে, যিনি কল করেছিলেন, তিনিও ঠিক করেছেন। এ নিয়ে আমার দিক থেকে খারাপ লাগার কিছু নেই।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/