এক শিশুর হৃদযন্ত্রে বাঁচলো আরেক শিশুর প্রাণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

এক শিশুর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পেলো আরেক শিশু। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনে ছয় বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুর হৃদযন্ত্র সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। দেশটির হার্ট ইনস্টিটিউটের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিএনএন। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী কিয়েভে শিশুটির অস্ত্রপচার করা হয়।

প্রায় তিন ঘণ্টার অস্ত্রপচারে ওই মেয়ে শিশুটির শরীরে চার বছর বয়সী অপর একটি শিশুর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়। হার্ট ইনস্টিটিউট বলছে, ইউক্রেনে এত অল্প বয়সী কারও হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের এটাই প্রথম ঘটনা।

আরও পড়ুন: জুতা চুরি হওয়ায় থানায় অভিযোগ যুবকের

এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই অস্ত্রপচারটি ছিল বেশ আলাদা কারণ, এর দাতা এবং গ্রহীতা উভয়েরই বয়স কম। দুজনেই ছোট শিশু। সে কারণে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সময় চিকিৎসকদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হয়েছে।

jagonews24.com

এর আগে ২০২১ সালে ইউক্রেনের ভোলিন অঞ্চলে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের একই ধরনের অস্ত্রপচার করা হয়। রোববারের অস্ত্রপচারে ডা. বরিস তোদুরোভের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি টিম ছয় বছরের শিশুটির হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করেন।

এদিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ডা. বরিস তোদুরোভ বলেন, অস্ত্রপচার খুব সুন্দর ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে হার্ট ইনস্টিটিউট বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। চার বছরের ছেলে শিশুর হৃদযন্ত্র নিয়ে ছয় বছরের মেয়েটির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। ছবিতে দেখা গেছে, ছেলে শিশুটির মা মেয়ে শিশুটির বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।

আরও পড়ুন: খবর পড়ছে এআই, ঝুঁকিতে টিভি উপস্থাপকদের চাকরি?

ইউক্রেনীয় সংসদের আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ও প্রতিস্থাপন উন্নয়ন বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ওকসানা দিমিত্রিভা বলেন, এটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ঘটনা। অন্য কারও দেহে মৃত সন্তানের হৃদস্পন্দন শুনতে এসেছিলেন এক মা। এই ছবিটি দেখে আমার চোখে পানি চলে এসেছে। হার্ট ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, যুদ্ধের মধ্যে চলতি বছর ইউক্রেনে ২৩ টি হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।