পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন
ভোট গণনার শুরুতেই আহত ৪০
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গত শনিবার (৮ জুলাই) ভোট হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহিংসতা, জাল ভোট, বুথ দখল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোটের দিনই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের এবং আহতের সংখ্যা একাধিক। নির্বাচনের আগে থেকেই সহিংসতা, সংঘর্ষ শুরু হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই রাজ্যে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের উৎসবে রক্তের হোলি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
এদিকে রোববার রাতে (৯ জুলাই) রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ঘোষণা দেন, সোমবার (১০ জুলাই) ৬৯৭ কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার রাজ্যের ১৯ জেলার ৬৯৭টি বুথে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হয়েছে। দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটগ্ৰহন প্রক্রিয়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকেই ভোট গণনা শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সূত্র অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মোট গণনা কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৩৯টি এবং স্টং রুম ৭৬৭টি। প্রতিটি ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে ও গণনা কেন্দ্রের ভেতরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন।
মালদহ জেলার ভোট গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে লাঠি চার্জ করে। ডায়মন্ড হারবার ভোটগণনা কেন্দ্র ফকির চাঁদ কলেজের সামনে গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় বোমাবাজি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতার মধ্যেই ভোট শুরু, তৃণমূল কর্মী খুন
সিপিএমের এজেন্টদের ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃনমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ওই জেলায় সকাল থেকে ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি ও গুলি চালনোর ঘটনা ঘটে। তবে তিনজন আহত হলেও মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেনি।
উত্তর ২৪ জেলার বারাসাতের ভোট গণনা কেন্দ্র আইডিয়াল কলেজের সামনে সকাল থেকেই বোমাবাজির মতো ঘটনা ঘটে । সহিংসতা, অশান্তি, হিংসা, বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনা নিয়েই মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়।
ডিডি/টিটিএন