পঞ্চায়েত নির্বাচন

পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতার মধ্যেই ভোট শুরু, তৃণমূল কর্মী খুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ০৮ জুলাই ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। ভোটের শুরুতেই বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা দেখা গেছে। কোচবিহারের সিতাই বিধানসভার এক নম্বর ব্লকের ৬/১৩০ বড়ভিট গভর্নমেন্ট প্রাইমারি স্কুলে রাতভর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথের মধ্যে আগুন লাগানো হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

একাধিক জেলায় প্রাণহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়ন-পর্ব থেকে প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত নানা ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এদিকে ভোটের আগের রাতে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: এবার পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

শুক্রবার রাতে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কোচবিহারের দিনহাটার ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গুলিতে জখম হয়েছেন বাম-কংগ্রেসের জোটপ্রার্থীর এক সমর্থক। তুফানগঞ্জে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিন ধরেই যেসব এলাকায় সহিংসতা দেখা গেছে সেখানে পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় ভোট দেখতে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভোট ঘিরে হিংসার ঘটনা মোকাবিলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনে রাজীব সিং ‘ব্যর্থ’ বলে আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। এ নিয়ে সরগরম রাজ্যের রাজনীতি। এই আবহে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করাই ‘চ্যালেঞ্জ’ প্রশাসনের। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে সিপিএম এবং তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪ জন।

তবে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের নন্দনায়েকবাড় বুথে নির্বিঘ্নেই ভোট চলছে। এখানে ভোট দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বুথে ভোট দিতে যাবেন শুভেন্দু।

রাজ্যের মোট ২২টি জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ স্তরে ভোট হচ্ছে ২০টিতে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে দু’টি স্তরে- গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে। কারণ, পাহাড়ে জেলা পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা পালন করে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)। ওই ‘স্বশাসিত’ সংস্থার পৃথক নির্বাচন হয়।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে সবজির দামে আগুন, ঝাঁঝ বেড়েছে কাঁচা মরিচের

রাজ্যের ২০টি জেলায় জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৯২৮টি। কিন্তু ভোট হচ্ছে ৯১২টিতে। কারণ তৃণমূল প্রার্থীরা ১৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছেন। কোচবিহারে ১টি, উত্তর দিনাজপুরে ৩টি, বীরভূমে ১টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮টি আসনে ভোটের আগেই বিনা লড়াইয়ে জিতেছে তৃণমূল। বাকি ৯১২টি আসনের সবগুলোতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে তারা।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।