বিয়ের দেনমোহর হজ, অবশেষে স্বপ্নপূরণ
হজ মানে টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, দায়িত্ব-কর্তব্য সব পেছনে ফেলে মহান সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটানো। এমনটাই মনে করেন এ বছর জাপান থেকে হজ করতে যাওয়া কয়েকজন নারী। এদের মধ্যে অন্যতম আলমাস চোজি। এবারই প্রথম হজব্রত পালন করলেন তিনি।
বছর চল্লিশের এ নারী জানিয়েছেন, স্বামীর কাছে বিয়ের দেনমোহর হিসেবে হজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে এ বছর।
আরও পড়ুন>> হজে গিয়ে দেখা, পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
সৌদি সেন্টার ফর গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনের (সিজিসি) সঙ্গে আলাপকালে চোজি জানান, একটি খাদ্য কোম্পানিতে কর্মরত এক মুসলিম ব্যক্তির কাছ থেকে প্রথমবারের মতো ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। ওই ব্যক্তি তাকে হালাল খাবারসহ ইসলামের খুঁটিনাটি নানা বিষয় শেখান।
চোজি বলেন, চার বছর আগে আমি বিয়ে করি। তখন বয়স ছিল ৩৫ বছর। আর আমার দেনমোহর ছিল হজের ভ্রমণ।
আরও পড়ুন>> হজ করতে এক বছর হেঁটে মক্কায় পৌঁছালেন যুবক
জাপানি এ নারী জানান, বিয়ের পরপরই তিনি হজে যেতে পারেননি। কারণ তখন করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল।
অবশেষে এ বছর হজ করতে সৌদি আরবে পৌঁছান আলমাস চোজি। তিনি জানান, মক্কার গ্রান্ড মসজিদের বহু ছবি আগে অনলাইনে দেখেছিলেন। সেগুলো ছিল মানুষে পরিপূর্ণ। কিন্তু এবার যখন সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে দেখলেন, তখন বুঝতে পারেন, মসজিদটি তার কল্পনার চেয়েও বেশি সুন্দর।
আরও পড়ুন>> মক্কা নগরী ও কাবা শরিফের ইতিহাস-ঐতিহ্য
চোজির মতে, হজ নিজেকে আবিষ্কার করতে এবং এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।
আলমাস চোজির মতো জাপান থেকে হজ করতে গিয়েছিলেন মুরামা সুগুকু নামে আরেক নারী। কীভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তা জানিয়েছেন তিনি।
সুগুকু বলেছেন, তিনি আজান শুনে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করবেন।
সূত্র: সৌদি গ্যাজেট
কেএএ/