সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনতে কুমিরকে বিয়ে করলেন মেয়র!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

কুমিরকে বিয়ে করেছেন মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের সান পেড্রো হুয়ামেলুলা শহরের মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা। যে কুমিরকে তিনি বিয়ে করেছেন, সেটির নাম অ্যালিসিয়া অ্যাড্রিয়ানা। রোববার (২ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরবাসীর সৌভাগ্য ফিরিয়ে নিয়ে আনতেই ঐতিহ্যবাহী আচার-আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে কুমিরটিকে বিয়ে করেন মেয়র সোসা। বিয়ে উপলক্ষে কুমিরটিকে নববধূর আদলে সাজানো হয়।

আরও পড়ুন: বিনোদন পার্কের ৪০ ফুট উঁচু থেকে দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেলো শিশু

বিয়ের আগে কুমিরটিকে ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে নগরবাসী কুমিরটিকে দুই বাহুতে নিয়ে নাচতে পারে। তবে বিয়ের আগে কুমিরটি যাতে কাউকে কামড়ে না বসে, সেজন্য এটির মুখ বেঁধে রাখা হয়। পরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য কুমিরটিকে শহর মিলনায়তনে নিয়ে যাওয়া হয়।

jagonews24

আচার-আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে স্থানীয় এক জেলে জাল ছুড়ে মারেন। তিনি সুর করে প্রার্থনা করেন। প্রার্থনায় বলা হয়, এ বিয়ের ফলে যেন ভালো সংখ্যক মাছ ধরা পড়ে। যার মধ্যদিয়ে শহরে সমৃদ্ধি, ভারসাম্য ও শান্তি আসে।

আরও পড়ুন: ‘লবণদানার চেয়ে ছোট্ট’ ব্যাগ বিক্রি হলো ৬৮ লাখ টাকায়!

বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়র সোসা বলেন, তিনি কনের (কুমির) দায়িত্ব নিচ্ছেন। আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি। ভালোবাসা ছাড়া বিয়ে করা যায় না। আমি ভালোবেসেই রাজকুমারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম।

বিয়ের পর মেয়র নববধূকে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী সংগীতের সুরে নাচ করেন। তিনি বলেন, আমরা খুশি। কারণ, আমরা দুটি সংস্কৃতির মিলন উদ্‌যাপন করি। নাচ শেষে কুমিরটিকে চুম্বন করেন মেয়র।

আরও পড়ুন:  ১৫৮ কোটি টাকায় বিক্রি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি লাইসেন্স প্লেট

প্রায় ২৩০ বছর আগে এরকম একটি বিয়ের মাধ্যমে এলাকাটিতে দুটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি এসেছিল। একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম চোন্টাল, অপরটি হুয়াভ। সেই তখন থেকেই এখানকার একজন পুরুষ মানুষের সঙ্গে একটি নারী কুমিরের বিয়ে হয়ে আসছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।