ফ্রান্সে সহিংসতা চলছেই
ফ্রান্সের মার্সেই শহরে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছেই। গত মঙ্গলবার প্যারিসে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে ১৭ বছরের এক কিশোরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ওই কিশোরের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল হয়ে রয়েছে পুরো ফ্রান্স।
গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দাফায় সংঘর্ষ হচ্ছে। কোনোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে দাঙ্গা: গ্রেফতার ১৩০০
বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে মারছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে কমপক্ষে ৫৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত নাহেল এমের নামের কিশোরের দাফন শনিবার সম্পন্ন হয়েছে। বহু মানুষ তার জানাজায় অংশ নিয়েছে।
প্রধান প্রধান শহরগুলোতে হাজার হাজার পুলিশ উপস্থিত থাকায় আগের দিনের তুলনায় সহিংসতার তীব্রতা কিছুটা কম দেখা গেছে। রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করায় লোকজন বিক্ষোভ করা থেকে বিরত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারাদেশে ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এক হাজার ৩০০ জনের বেশি এবং বৃহস্পতিবার ৯০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার জেরে ৪৯২টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় দু’হাজার গাড়ি। এ ছাড়াও বহু জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার প্যারিসে ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে নাহেল এমের নামের এক কিশোরকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সেই ঘটনার জেরেই বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যসহ একাধিক অভিযোগে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: কিশোর হত্যা: ফ্রান্সে চলছে সহিংসতা-লুটপাট
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেগাল্ড দাগমানা এক টুইট বার্তায় জানান, শনিবার রাতে বিভিন্ন শহর থেকে মোট ৪৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারীরা ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়ায় শনিবার রাত বেশ ‘শান্ত’ ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে, তারা ১২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে প্যারিসে সব ধরনের বাস ও ট্রাম চলাচল দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রাখা হয়।
টিটিএন