বর্ণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা মার্কিন আদালতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ৩০ জুন ২০২৩
ফাইল ছবি

জাতি ও বর্ণের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির নিয়মে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো দেশটির শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) এক রায়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। এ রায়ের ফলে সংখ্যালঘু ও আফ্রিকান-আমেরিকানদের শিক্ষালাভের সুযোগ কিছুটা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নারীদের গর্ভপাতের অধিকার আইন বাতিল করে দেওয়ার এক বছরের মধ্যেই ফের একটি আইন বাতিল করে দিলো সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৬০ সালের উদারনীতি বাতিলের পক্ষে বহু নিদর্শন কোর্টে পেশ করা হয়েছিল। অবশেষে এ আইন বাতিলের পক্ষে ছয়জন রক্ষণশীল ও বিপক্ষে তিনজন উদারপন্থি ভোট দেন।

আরও পড়ুন>সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় দেশে দেশে নিন্দা-বিক্ষোভ

প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসও আইন বাতিলের পক্ষে ভোট দেন। প্রধান বিচারপতি তার মতামতে লিখেছেন, সেই সময় এই পদক্ষেপ সঠিক উদ্দেশে নেওয়া হলেও তা চিরকাল স্থায়ী হতে পারে না। অন্যদের জন্য এই সংরক্ষণ অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক।

তিনি আরও লিখেছেন, ছাত্রছাত্রীদের বিচার পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতারভিত্তিতে করা দরকার। জাতি-বর্ণের ভিত্তিতে নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এত দিন এর উল্টোটাই করে এসেছে। এর ফলে তারা এক জনের পরিচয়কে মেধার ভিত্তিতে নয়, শরীরের রং বা জাতি হিসেবে দেখে এসেছে। এ সবই আমাদের সংবিধানের পরিপন্থি।

বিপক্ষের বিচারপতি সনিয়া সতমায়র সংখ্যাগরিষ্ঠকে একটি স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্ন সমাজ’-এর বাস্তবতার প্রতি বর্ণান্ধতা বলে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, জাতিকে উপেক্ষা করলেই সমাজে জাতিগত অসাম্য দূর হবে না। ১৮৬০ সালে যা সত্য ছিল, ১৯৫৪ সালেও তা সত্য ও আজও তা সত্যই রয়েছে। সাম্যের জন্য বৈষম্যের স্বীকৃতি প্রয়োজন।

আরও পড়ুন>পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত, ফ্রান্সে ব্যাপক সহিংসতা

তাছাড়া শীর্ষ আদালতের এই রায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, এই রায় গত কয়েক দশকের ইতিহাস ভুলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখনো বৈষম্য রয়েছে। আজকের এই সিদ্ধান্ত তা পাল্টাতে পারবে না। এটি একটি সহজ সত্য যে, যদি একজন শিক্ষার্থীকে তাদের শিক্ষার পথে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে চায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত সেই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া।

কোর্টের রায়ের পর এ বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, বৈচিত্র্য ও স্বতন্ত্রতা শিক্ষাগত শ্রেষ্ঠত্বের জন্য অপরিহার্য।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।