ইউক্রেনে আর যুদ্ধ করবে না ওয়াগনার বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪০ পিএম, ২৯ জুন ২০২৩

সম্প্রতি বিদ্রোহের পর রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওয়াগনার বাহিনীর গভীর টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এবার ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ভাড়াটে বাহিনীটি রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনে আর যুদ্ধ করবে না।

ওয়াগনার বাহিনী রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবে এমন চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তাকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন>‘মোটা বেতনে’ রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে নেপালিরা

রুশ প্রতিরক্ষা কমিটির নিম্নকক্ষের সভাপতি কর্নেল-জেনারেল আন্দ্রেই কার্তাপোলভ বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি উপেক্ষা করে বিদ্রোহ করে ওয়াগনার প্রধান।

তিনি বলেন, বিদ্রোহ চেষ্টার বেশ কিছু দিন আগেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সব পক্ষকেই রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি করতে বলা হয়েছিল। সবাই এই প্রক্রিয়ায় রাজি হলেও আপত্তি জানায় প্রিগোজিন।

এদিকে উন্নত জীবনের আশায় ও মোটা অংকের বেতনের লোভে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন নেপালি নাগরিকরা। সম্প্রতি বিবিসি নেপালির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন>উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে ‘মানব দেহাবশেষ’ থাকার সম্ভাবনা

রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া নেপালিদের মধ্যে একজন হলেন রামেশ (ছদ্মনাম)। উন্নত জীবনের আশায় স্টুডেন্ট ভিসায় নেপাল থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। নেপালে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা এই তরুণ চেয়েছিলেন কোনোভাবে ওই দশা থেকে মুক্তি পেতে। পড়াশোনা শেষে হয় তিনি নেপালে ফিরে গিয়ে সাধারণ কোনো চাকরি করতেন অথবা রাশিয়ায় ভালো কোনো চাকরি খুঁজতেন। কিন্তু এসব এত সোজা ছিল না।

রমেশ জানান, আমার মতো রাশিয়ায় আসা অন্য ছাত্ররাও একই দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তারা ভালো কোনো চাকরি পাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে মস্কো তার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য এক প্রকার লাল গালিচা বিছিয়ে বিদেশিদের স্বাগত জানিয়েছে। সেখানে মোটা অংকের বেতন থেকে শুরু করে রাশিয়ার নাগরিক হওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করাসহ নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

এমএসএম

 

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।