টরন্টোর মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী কুকুর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ২৫ জুন ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

কানাডার টরন্টো শহরের পরবর্তী মেয়র কে হবেন তা জানতে শিগগির ভোট দিতে চলেছেন ভোটাররা। পরকীয়া কেলেঙ্কারিতে দীর্ঘদিনের মেয়র পদত্যাগ করায় নতুন মেয়র নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে সেখানে। আর এই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড ১০২ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছে মলি নামে একটি কুকুরও।

উলফ-হাস্কি জাতের কুকুরটির মালিক টবি হিপস। শীতের সময় শহরের রাস্তায় ‘লবণ হামলা বন্ধ’ করার প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি।

আরও পড়ুন>> রাস্তা পরিষ্কার রাখতে ঘোড়াকে পরানো হচ্ছে ‘ডায়াপার’

হিপসের মতে, শীতের সময় রাস্তায় লবণের অত্যাধিক ব্যবহার মলির মতো কোমল পায়ের কুকুরদের জন্য ক্ষতিকর। তার প্রচারাভিযানে আবাসন ব্যয়বৃদ্ধির সমাধান, বিলিয়ন ডলার ব্যবসার ওপর ট্যাক্স বাড়ানো এবং নতুন বাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে জীবাশ্ম-জ্বালানি নির্ভর হিটিং সিস্টেমের ওপর নিষেধাজ্ঞার আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে।

হিপস জনিয়েছেন, তিনি যদি নির্বাচনে জেতেন তাহলে মলিকে টরন্টোর প্রথম সাম্মানিক কুকুর মেয়র হিসেবে মনোনীত করবেন। তার মতে, রুমের ভেতর একটি জন্তু থাকলে সিটি হল আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন>> ইসরায়েলি পতাকা খুলে ফেলে দিলো কাক, ভিডিও ভাইরাল

২৫ বছর আগে সাতটি পৌরসভা মিলে কথিত ‘মেগা-সিটি’ গঠনের পর টরন্টোর ইতিহাসে এটি প্রথম উপনির্বাচন। গত আট বছর মেয়র পদে থাকা জন টরির পদত্যাগের পর এই উপনির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে সেখানে।

২০১৪ সাল থেকে টরন্টোর মেয়র পদে ছিলেন টরি। নানা সমালোচনা সত্ত্বেও তিনবার নির্বাচনে জিতেছেন তিনি। সবশেষ জিতেছিলেন ২০২২ সালের অক্টোবরে। সেসময় ডজনখানেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও টরি জিতবেন তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল।

কিন্তু এর কয়েকমাস পরেই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে টরন্টো স্টার পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে, ৬৮ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়র করোনাভাইরাস মহামারির সময় ৩১ বছর বয়সী এক সহকর্মীর সঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই খবর প্রকশের কয়েকদিন পরেই পদত্যাগ করেন টরি।

আরও পড়ুন>> প্রতিশোধ নিতে স্ত্রীর প্রেমিকের স্ত্রীকে বিয়ে!

টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক নেলসন উইজম্যানের মতে, এবারের নির্বাচনে মাঠ পুরোপুরি উন্মুক্ত। তার কথায়, গতবার আর এবারের মধ্যে পার্থক্য হলো- আমরা জানি না কে জিতবেন।

টরন্টোয় মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। মাত্র ২৫০ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ২০ হাজার টাকা) এবং ২৫ জন বাসিন্দার স্বাক্ষর থাকলেই টরন্টোর যেকোনো নাগরিক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। উত্তর আমেরিকার অন্য বড় শহরগুলোর মতো এখানে প্রার্থীদের কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনয়নও প্রয়োজন হয় না।

আরও পড়ুন>> ইউরোপের যে দেশে বসবাস শুরু করলেই মিলবে কোটি টাকা

টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সিটিজের পরিচালক ক্যারেন চ্যাপল বলেছেন, মাঠ উন্মুক্ত থাকায় কেউ কেউ শুধু জিততে পারেন কি না দেখতেই নির্বাচনে নেমেছেন।

প্রায় ৩০ লাখ বাসিন্দার শহরটিতে ইতিহাসে প্রথম উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ জুন।

সূত্র: বিবিসি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।