ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, ৩৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ২৪ জুন ২০২৩
প্রতীকী ছবি

ইতালি-তিউনিসিয়ার মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৩৭ নিখোঁজ রয়েছেন। তবে কপালজোরে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন কয়েকজন। বেঁচে যাওয়া চার আরোহীর বরাতে শুক্রবার (২৩ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। খবর রয়টার্সের।

জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আরোহীরা সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তারা ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছান। এর আগে, একটি জাহাজ তাদের নৌকাডুবির স্থান থেকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন>> ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা

জীবিত আরোহীরা জানিয়েছেন, তারা মোট ৪৬ জন তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স বন্দর থেকে ইতালির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন। কিন্তু প্রবল বাতাসে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়।

এই চার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মতে, তাদের সঙ্গে থাকা আরও চার-পাঁচজনকে আরেকটি জাহাজ তুলে নিয়েছিল। বাকি ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সাতজন নারী এবং একটি শিশুও ছিল।

এর আগে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনও দুর্ঘটনার বিষয়ে একই তথ্য দিয়েছিল। তবে তারা নিখোঁজদের সংখ্যা ৪০ বলে উল্লেখ করেছিল।

আরও পড়ুন>> ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিসহ ৪৪০ আশ্রয়প্রার্থী উদ্ধার

সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে যাওয়া অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে তিউনিস কর্তৃপক্ষের কঠোর অভিযান, অর্থনৈতিক মন্দা ও বর্ণবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপমুখী অভিবাসন বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেছেন, তিউনিসিয়ার কাছে তিনটি নৌকা ডুবে অন্তত ১২ জন আফ্রিকান অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন এবং তিনজন মারা গেছেন। এছাড়া, দেশটির উপকূলরক্ষীরা ১৫২ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছেন।

আরও পড়ুন>> ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, ১৭ বাংলাদেশি উদ্ধার

তবে যে চার জীবিত ব্যক্তি আইওএম’র কাছে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন, তারা ওই তিনটি নৌকার একটিতে ছিলেন কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।