নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষস্থলের সন্ধান মিলেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৮ পিএম, ২২ জুন ২০২৩

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষস্থলের (ডেবরিস ফিল্ড) সন্ধান মিলেছে। রোবটচালিত জলযান ‘রোভ’র মাধ্যমে এ সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এখনো ওই ধ্বংসাবশেষের কোনো ছবি পাওয়া যায়নি। কোস্টগার্ডের বিশেষজ্ঞ দল রোবটচালিত জলযান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করছেন। মার্কিন কোস্টগার্ড সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় প্রেস ব্রিফিং করবে মার্কিন কোস্টগার্ড। সেখানে এ নিয়ে ব্রিফ করবেন মার্কিন কোস্ট গার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেড্রিক ও রিয়ার এডমিরাল জন মাউজার।

এদিকে, বিবিসির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংসাবশেষস্থলের কাছাকাছি নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের ‘ল্যান্ডিং ফ্রেম’ ও ‘পেছনের একটি আবরণ’ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞ ডেভিড মেরেনসের বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরেনসের একজন বন্ধু নিখোঁজ টাইটান সাবমেরিনের যাত্রী। মেরেনস বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি এসব তথ্য (‘ল্যান্ডিং ফ্রেম’ ও ‘পেছনের একটি আবরণ’ পাওয়ার) পেয়েছেন ‘দ্য এক্সপ্লোরার্স ক্লাব’-এর সভাপতির কাছ থেকে। দ্য এক্সপ্লোরার্স ক্লাব দীর্ঘদিনি ডুবুরি পরিচালনা ও উদ্ধারকাজে যুক্ত।

আরও পড়ুন>> টাইটানিক দেখতে যাওয়া পর্যটকবাহী সাবমেরিন নিখোঁজ

অন্যদিকে সাবমেরিন টাইটানে মজুত অক্সিজেন একেবারে শেষ পর্যায়ে। জাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমানের পাশাপাশি অনুসন্ধান অভিযানে যুক্ত করা হয়ে তিনটি রোবটচালিত জলযান।

jagonews24.com

তিনটি রোবটের মধ্যে দুটি গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালাতে বিশেষভাবে দক্ষ। অপরটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি সমুদ্রপৃষ্ঠে চলাচলকারী একটি নৌযান। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালানোর সক্ষমতাসম্পন্ন রোবটচালিত জলযানগুলোর নাম রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল, সংক্ষেপে ‘রোভ’।

আরও পড়ুন>> আর কত সময় টিকে থাকতে পারবে পর্যটকবাহী নিখোঁজ সাবমেরিন?

কানাডিয়ান কোস্টগার্ড বাহিনী জলযান দুটিকে নিয়োগ করেছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড যৌথভাবে রোভ দুটি পরিচালনা করছে। সাবমেরিনটি উদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত সংস্থা যোগ দিয়েছে। কাজ করছে ১২টি জাহাজ ও সামরিক বিমান। ব্যবহার করা হচ্ছে ‘সোনোবয়া’, যা দিয়ে সাগরের অনেক নিচে থাকা বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয়।

রোববার (১৮ জুন) আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দেয় ‘টাইটান’ নামের সাবমেরিনটি। সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মাদার ভেসেল পোলার প্রিন্সের।

এএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।