সিঙ্গাপুরের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রেও মিলবে কৃত্রিম মাংস
সিঙ্গাপুরের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভোক্তাপর্যায়ে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মুরগির মাংস বিক্রির অনুমতি দিলো যুক্তরাষ্ট্র বুধবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক মুখপাত্র জানান, আপসাইড ফুডস ও গুড মিট নামের দুটি কোম্পানির তৈরি কৃত্রিম মাংস বাজারে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নির্দিষ্ট কিছু রেস্তোরাঁয় কোম্পানি দুটির তৈরি মুরগির মাংস পাওয়া যাবে।
গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) আপসাইড ফুডস ও গুড মিটকে কৃত্রিমভাবে মাংস তৈরির অনুমতি দেয়। নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষা করে কোম্পানিগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগও কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত মাংস বিপজ্জনক কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে ও নিরাপদ হিসেবে ছাড়পত্র দেয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম মুরগির মাংস পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে
এক বিবৃতিতে আপসাইড ফুডসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উমা ভালেতি বলেন, এ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে আমরা আরও টেকসই ভবিষ্যতের পথে অনেকখানি এগিয়ে গেলাম। গুড মিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোশ টেটরিক বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এ দেশটিও এখন ভোক্তা পর্যায়ে কৃত্রিমভাবে তৈরি মাংস বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।
জানা যায়, বিক্রির অনুমোদন পাওয়ার পরপরই আপসাইড ফুডসের কাছে মাংস চেয়েছে সান ফ্রান্সিসকোর বার ক্রেন রেস্তোরাঁ। গুড মিটও বিক্রির জন্য মাংস তৈরির কাজ শুরু করেছে। কোম্পানিটি তারকা রন্ধনশিল্পী হোসে আন্দ্রেসের কাছে প্রথম ধাপের মাংসগুলো বিক্রি করবে। আন্দ্রেস ওয়াশিংটনের একটি রেস্তোরাঁয় মাংসগুলো বিক্রি করবেন। তবে রেস্তোরাঁটির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁয় বসে অনলাইনে অর্ডার, খাবার মিললো অর্ধেক দামে!
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁয় দুর্ব্যবহার করা দুই যুবককে পেটালেন নারী ওয়েটার!
পরীক্ষাগারে মাংস উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন সময়েই বিভিন্ন কোম্পানিকে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। তাদের দাবি, কৃত্রিমভাবে মাংস তৈরি করা হলে তাতে পরিবেশের ওপর খামারের প্রভাব ও পশুদের দুর্ভোগ কমানো যাবে। সর্বপ্রথম ২০২০ সালে সিঙ্গাপুরের ‘ইট জাস্ট’ কোম্পানিকে কৃত্রিম মাংস তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়।
২০১৩ সালে লন্ডনে প্রথমবারের মতো কৃত্রিমভাবে তৈরি বার্গার বাজারে আনা হয়। ওই বার্গার তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। তারপর থেকে বিশ্বের বেশকিছু কোম্পানি বাজারে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা মাংস আনার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ