সাবমেরিন নিখোঁজ

হাতে সময় ৩০ ঘণ্টারও কম, পানির নিচে সংকেত মিলেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ২১ জুন ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের নিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিন টাইটানের এখনো সন্ধান মেলেনি। তবে পর্যটকবাহী ওই সাবমেরিনের খোঁজে তল্লাশিরত কানাডার একটি বিমান পানির নিচে সংকেত শনাক্ত করতে পেরেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে।

কানাডার পি-৩ নামের একটি বিমান টাইটানের খোঁজে একটি অনুসন্ধান এলাকায় পানির নিচে শব্দ শনাক্ত করেছে বলে কোস্টগার্ড নিশ্চিত করেছে। এটা অনেকটা আঘাতের মতো শব্দ বলে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ছাড়াও কানাডার একাধিক দল আটলান্টিক মহাসাগরের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় সাবমার্সিবলটি অনুসন্ধান করে যাচ্ছে। ডুবোজাহাজটি খুঁজতে তিনটি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে পেন্টাগন। রিমোট সাবমার্সিবলবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ডিপ এনার্জি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।

আরও পড়ুন: আর কত সময় টিকে থাকতে পারবে পর্যটকবাহী নিখোঁজ সাবমেরিন?

সমুদ্রবিজ্ঞানী এবং জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খোঁজায় বিখ্যাত ডেভিড মেয়ার্নস বিবিসিকে বলেন, ডিপ এনার্জির সাবমেরিনটি ৩৮০০ মিটার গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতায় ভূমিকা রাখতে পারবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ওই সাবমেরিনে এখন টিকে থাকার জন্য ৩০ ঘণ্টারও কম অক্সিজেন আছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক বলেন, তাদের বাহিনীর সদস্যরা ‘ঘড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে’ ডুবোজাহাজটি খুঁজছে। তিনি বলেন, এটি হচ্ছে বিশাল এলাকা জুড়ে জটিল একটি অভিযান।

তবে পানির নিচে সংকেত পাওয়ার বিষয়টি তল্লাশি অভিযানে অগ্রগতি বলেই মনে হচ্ছে। এর ফলে অনুসন্ধানকারী দল ওই শব্দের উৎস বের করতে পারলেই হয়তো ডুবোযানটির কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আটলান্টিকের ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট অঙ্গরাজ্যের সমান। ফ্রান্সের একটি গবেষণা জাহাজকে ওই এলাকায় গিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই জাহাজে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রোবট সাব রয়েছে। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এর।

কিন্তু এই জাহাজটি বর্তমানে যে অবস্থানে রয়েছে সেখান থেকে উদ্ধার তৎপরতার স্থানে যেতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। দুইভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। হয়তো পানির ওপরে ডুবোজাহাজটি ভেসে উঠেছে, কিন্তু যোগাযোগ যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে পানির ওপরে খুঁজছে একাধিক বিমান।

অন্যদিকে যন্ত্র ব্যবহার করে দেখা হচ্ছে, সমুদ্রের পানির নিচে কোথাও ডুবোজাহাজটি রয়েছে কি না। স্থানীয় সময় রোববার আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখার জন্য পানির নিচে যাওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর মাদার ভেসেল পোলার প্রিন্স থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েও অল্পের জন্য রক্ষা

ওই ডুবোজাহাজে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান রয়েছেন। এছাড়া ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক পাইলট পল-হেনরি নার্গেওলে এবং পর্যটন সংস্থা ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশও রয়েছেন এতে।

টাইটার সাবমার্সিবলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে বলে ২০১৮ সালে সতর্ক করে দিয়েছিলেন ওশানগেটের সাবেক একজন বিশেষজ্ঞ। সে কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।