জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ফিরে যেতে বললো মালির সামরিক সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ১৭ জুন ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

অবিলম্বে মালি থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারের নির্দেশ জানিয়েছে দেশটির অন্তর্বর্তী সামরিক সরকার। শুক্রবার (১৬ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলাই দিওপ এ নির্দেশ দেন।

আবদুলায়ে দিওপের অভিযোগ, জাতিসংঘের শান্তি মিশন ইউনাইটেড মিনুসমা অর্থাৎ নেশন্স মাল্টিডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন মালি (এমআইএনইউএসএমএ) বাহিনী ‘আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ সমস্যার একটি অংশ হয়ে উঠেছে।

jagonews24

মালির বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রান্সের দীর্ঘস্থায়ীভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে মালিয়ানদের আপত্তির পর মিনুসমার সমালোচনা করলেন দিওপ। গত বছর সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সঙ্গে জোট ভেঙে যায়।

আরও পড়ুন: বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের কথা নিশ্চিত করলেন পুতিন

২০১২ সালে সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মালির তৎকালীন সরকার ব্যর্থ হলে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠায় জাতিসংঘ। ২০২০ ও ২০২১ সালে মালিতে অভ্যুত্থানের পর ক্রমবর্ধমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক সরকারের সঙ্গে শান্তিরক্ষী বাহিনী ও ফ্রান্সসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতবিরোধ তৈরি হয়।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যবশত শান্তিরক্ষী বাহিনীই এখন আন্তঃসম্প্রদায় সংঘাত উসকে দিচ্ছে। বর্তমানে তারাই আমাদের সমস্যা হয়ে উঠেছে। মালির জনগণ, সরকার ও শান্তিরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তাই মালি সরকার কোনো সময় নষ্ট না করে শান্তিরক্ষী বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে।

আরও পড়ুন: সাইপ্রাসে ফসল রক্ষা করছে বিরল প্রজাতির পেঁচা

এদিকে, দিওপের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মালিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত এল ঘাসিম ওয়েন বলেন, কাউন্সিল যে সিদ্ধান্তই নেবে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো। যদিও সরকারের সম্মতি ছাড়া একটি নির্দিষ্ট দেশে কাজ চালিয়ে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে অসম্ভব নয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মালির সামরিক সরকার পশ্চিমের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্ক ছিন্ন করে সামরিক সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার দিকে হাত বাড়িয়েছে। মালিতে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সংগঠন ওয়াগনারের সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিমের দেশগুলো চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা ওয়াগনারকে ইউক্রেন ও আফ্রিকার কিছু অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তাছাড়া গত মাসে ইভান মাসলভের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইভানকে মালিতে ওয়াগনারের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সুইস পার্লামেন্টে জেলেনস্কির ভাষণ বয়কট করলেন এমপিরা

এদিকে, পশ্চিমা অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াগনার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মালি ও আফ্রিকার অন্যান্য অংশে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার ভাড়াটে এ সেনাদল।

গতকাল জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, শান্তিরক্ষী মিশন তখনই সফল হয়, যখন তারা সেই দেশটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় রক্ষা করে। তিনি মালির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার আহ্বান জানান।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।