বিজেপির সব নেতাকর্মী চোর-ডাকাত-গুন্ডা: মমতা

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ১৬ জুন ২০২৩

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতি তার প্রশ্ন, ‘এনআরসির নামে খুন হলে কী হয়?’ শুক্রবার (১৬ জুন) দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে নামখানার ইন্দিরা ময়দানে ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির যত নেতাকর্মী রয়েছে, সব চোর, ডাকাত, গুন্ডা। তাদের বেলায় নাবালিকা নির্যাতনে কোনো আইন নেই, কেউ গ্ৰেফতার হয় না।

আরও পড়ুন>> হাসিনা-মোদীর জন্য আম পাঠালেন মমতা

মমতা বলেন, এনআরসির নামে এত লোক মারা গেছে, কেউ গ্ৰেফতার হয় না। আবার আমাকে বলছে এনআরসি করতে। আমি বলেছি, করবো না। কারণ, ওদের ফরেনার ডিক্লেয়ার করতে হবে, বিদেশি ঘোষণা করতে হবে। আমি মনে করি, সব মানুষ পশ্চিমবঙ্গের। তাদের অধিকার রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিকভাবে ভোট দেয়, সেই ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কীসের এত ভয়?

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গঙ্গাসাগর আগে কী ছিল? আগে লোকে বলতো, ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার’। এখন লোকে বলে, ‘সব তীর্থ একবার, গঙ্গাসাগর বারবার’। আমরা দূর্গাপূজা করি না? আমরা কালি পূজা করি না? আমরা ঈদ করি না? আমরা জাহির থানে যাই না? আমরা মাঝি থানে যাই না? আমরা সব ধর্ম করি।

আরও পড়ুন>> মোদীর উদ্দেশে মমতা: কী নন্দলাল, চুপ কেন?

বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিজেপি একটা অপদার্থের দল, দাঙ্গাবাজদের দল। দাঙ্গা ছাড়া কিছুই জানে না। জিজ্ঞেস করুন বিজেপিকে, গ্যাসের দাম কত?

এরপর মমতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘নন্দলাল’ বলে কটাক্ষ করে বলেন, ওহে নন্দলাল, ১১৪৯ রুপির গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। ওহে নন্দলাল, জবাব দেবে কে? ১০০ দিনের কাজের রুপি দেয় না। রাস্তার তৈরির রুপি দেয় না।

আরও পড়ুন>> এক টেবিলে তিন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপিবিরোধী জোটের ইঙ্গিত

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বোঝা যাচ্ছে, একটা ভয় কাজ করছে। তাই হতাশা থেকে তিনি (মমতা) এসব কথা একথা বলছেন।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।