কী ফুল ফুটলো মহাকাশ কেন্দ্রে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১৫ জুন ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

পৃথিবীর বাইরে নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে দূরপাল্লার ভ্রমণে যেমন মঙ্গল গ্রহ বা অন্য কোন গ্রহে মানুষকে তার নিজের খাবারের ব্যবস্থা হয়তো নিজেকেই করতে হবে। তাই মহাকাশে গাছপালার উৎপাদন কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়টি খুব গুরুত্ব পাচ্ছে। এসব কথা চিন্তা করেই ২০১৫ সালে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মহাকাশে ফুল গাছের বীজ রোপণ করা শুরু করে।

নাসার মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন সবজি উৎপাদনের কাজ শুরু করেন। আশার কথা হচ্ছে এই কাজে তিনি বেশ সফল হয়েছেন বলা যায়। কারণ এর মধ্যেই তার লাগানো জিনিয়া গাছে ফুল ফুটেছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) নাসার ইনস্টাগ্রামে একটি ফুলের ছবি পোস্ট করেছে। ওই ছবিতে দেখা গেছে একটি জিনিয়া গাছে কমলা রংয়ের ফুল ফুটে আছে। এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ফুটেছে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: বিক্রি হবে দুবাইয়ের সবচেয়ে দামি বাড়ি, আগ্রহী কারা?

সামাজিক মাধ্যমে ফুলের ছবি শেয়ার করে নাসা লিখেছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে সবজি উৎপাদনসংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কক্ষপথে এই জিনিয়া ফুলের জন্ম। ১৯৭০ সাল থেকেই মহাকাশে উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ২০১৫ সালে নভোচারী কেজেল লিন্ডগ্রেনের হাত ধরেই মূলত মহাকাশে ফুলের গাছ উৎপাদনে নাসার এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়।

jagonews24.com

পৃথিবীর মতো মহাকাশেও গাছপালার গুরুত্ব আছে। সেখানে বাগান করার বিষয়টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাসা লিখেছে, মহাকাশে বাগান করাটা আসলে লোক দেখানে কোনো কাজ ছিল না। কক্ষপথে কীভাবে গাছ জন্মানো সম্ভব সেটা জানতে পারলে আমরা বুঝতে পারব পৃথিবীর বাইরে কীভাবে শস্য উৎপাদন করা যাবে। এর মাধ্যমে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মতো যেখানে দীর্ঘমেয়াদি অভিযান চলবে সেখানে টাটকা খাবারের উৎস তৈরি করা সম্ভব হবে।

তবে এবারই প্রথম ফুলের দেখা পেলেও মহাকাশ কেন্দ্রে এর আগে লেটুস পাতা, টমেটো এবং মরিচ জন্মেছে। আরও অনেক সবজি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। শিগগির সেসব সবজির ফলনের বিষয়েও হয়তো জানা যাবে।

নাসার মতে, জিনিয়াস ফুলের উৎপাদন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল। পৃথিবীতে ফিরে আসা বিজ্ঞানীদের জন্য এটি একটি ব্যতিক্রমী বিষয় ছিল। এর মাধ্যমে তারা এখন ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে, কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও গাছ জন্মানো সম্ভব। এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে আরও বেশি গাছপালা উৎপাদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: গাড়ির ওপর চাবি রেখে গেলেও চুরি হয় না, দুবাই এত নিরাপদ!

অনেক বিজ্ঞান অনুরাগী মহাকাশ কেন্দ্রে জিনিয়া ফুলের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। নাসার ওই পোস্টে প্রচুর মন্তব্য এসেছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, দুটি বিশেষ জিনিস- ফুল এবং মহাকাশ একসঙ্গে। ধন্যবাদ, নাসা। অপর এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য এবং সুন্দর।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।