‘বিপর্যয়’ আসতে না আসতেই ভারতে সাতজনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় স্থলভাগে আঘাত হানতে এখনো দু’দিন বাকি। কিন্তু এর মধ্যেই ঝড়ের প্রভাবে ভারতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও প্রাণহানি ঠেকাতে উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে লাখ লাখ মানুষ সরিয়ে নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষগুলো। খবর রয়টার্সের।

বাংলাদেশের নামকরণ করা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের করাচি উপকূলে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়ার বেগ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে।

আরও পড়ুন>> বিপর্যয় আনতে পারে ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মানুষ

মুম্বাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় জুহু সৈকতে সমুদের পানিতে ডুবে গেছে চার তরুণ। এ পর্যন্ত দু’জনের মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। বাকিদের খোঁজে এখনো অভিযান চলছে।

jagonews24

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে উত্তাল রয়েছে আরব সাগর। এর প্রভাবে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের কুচ ও রাজকোট জেলায় গাছ উপড়ে এবং দেওয়াল ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>> অত্যাধিক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘বিপর্যয়’

গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের অন্তত আটটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় তাণ্ডব চালাতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া।

১৯৯৮ সালে গুজরাটে এক শক্তিশালী ঝড়ে অন্তত চার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল কয়েক হাজার কোটি ডলারের।

ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পাণ্ডে বলেছেন, রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে এরই মধ্যে ২০ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> আরও শক্তি বাড়ালো ‘ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়’, জরুরি বৈঠকে মোদী

jagonews24

ভারতের মতো প্রতিবেশী পাকিস্তানেও ঝড়ের শঙ্কায় মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমান বলেছেন, স্কুল ও অন্যান্য সরকারি ভবনগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে আধাসামরিক বাহিনী ও স্থানীয় বেসামরিক কর্তৃপক্ষগুলো।

আরও পড়ুন>> মোখার পরে আসছে যেসব ঘূর্ণিঝড়

পাকিস্তানের বেশ কিছু উপকূলীয় এলাকা থেকে জাহাজসহ অন্যান্য নৌযান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ওইসব অঞ্চলের হাসপাতালগুলোকে উচ্চসতর্কতায় রাখা হয়েছে।

বুধবার সকালের মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।