রুশ তেলের দাম চীনা মুদ্রায় শোধ, আমদানি ‘লাভজনক’ বললো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩
করাচি বন্দরে রুশ তেলের জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া থেকে ছাড়ে কেনা অপরিশোধিত তেলের দাম চীনা মুদ্রা ইউয়ানে শোধ করছে পাকিস্তান। এই পন্থায় আমদানি করা রুশ তেলের পরিশোধন ও ব্যবহার লাভজনক বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী।

সোমবার (১২ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুসাদিক মালিক জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম জি-টু-জি চুক্তিতে এক লাখ টন অপরিশোধিত রুশ তেল কেনার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ৪৫ হাজার টন তেল গত রোববার করাচি বন্দরে পৌঁছেছে, বাকিটাও আসার পথে।

আরও পড়ুন>> তেল কীভাবে তৈরি হয়, এর সঙ্গে ডাইনোসরের সম্পর্ক কী?

তবে পাকিস্তান কী দামে এই তেল কিনেছে বা কতটা মূল্যছাড় পেয়েছে সে বিষয়ে কিছু না বললেও পাকিস্তানি মন্ত্রী জানিয়েছেন, এর দাম ইউয়ানে শোধ করা হয়েছে।

তেলের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ইউরালস, বিশ্বের অন্যতম সহজলভ্য হালকা অপরিশোধিত তেল।

মন্ত্রী বলেছেন, প্রাথমিকভাবে আমদানি করা রুশ তেল পরিশোধন করবে পাকিস্তান রিফাইনারি লিমিটেড (পিআরএল)।

আরও পড়ুন>> ভারতে রাশিয়ার তেল বিক্রি বেড়েছে ২২ গুণ

তিনি এর আগে রুশ তেলের চালানকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি ‘ট্রায়াল রান’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সোমবার বলেছেন, সেসব পরীক্ষা ও যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। দেখা গেছে, অপরিশোধিত রুশ তেল স্থানীয়ভাবে পরিশোধন ও বাজারজাত করার উপযুক্ত।

‘বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক’

পাকিস্তান ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে থাকে। সেক্ষেত্রে রুশ তেল আমদানির আর্থিক কার্যকারিতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুসাদিক মালিক।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বিভিন্ন মিশ্রণের পরীক্ষা চালিয়েছি এবং কোনো পরিস্থিতিতেই এই তেল পরিশোধনে ক্ষতি হবে না। আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত, এটি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে।

আরও পড়ুন>> ফের তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা সৌদির

মালিক জানান, রুশ তেল পরিশোধনের জন্য ৬০-৭০ শতাংশ অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুডের সঙ্গে মিশ্রিত করা হবে। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই তেল পরিশোধনের জন্য শোধনাগারে কোনো কিছু সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের একটি বড় অংশই যায় জ্বালানি আমদানিতে। ২০২২ সালে দেশটি দৈনিক প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছিল। এর আগের বছরও তাদের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় একই।

মুসাদিক মালিক বলেন, আমরা আমাদের মোট তেল আমদানির এক-তৃতীয়াংশ রাশিয়া থেকে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।