ইউক্রেনে রাতভর রাশিয়ার বিমান হামলায় হতাহত ৪
ইউক্রেনে রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রুশ হামলায় একজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে। হামলায় চারটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ১৬টি ড্রোন এবং ছয়টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের
এদিকে ইউক্রেনের নোভা কাখোভকা বাঁধ ধসে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় মরদেহ ভাসতে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সোভিয়েত আমলের গুরত্বপূর্ণ বাঁধটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে দিনিপ্রো নদীর পানি বেড়ে আশেপাশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ইউক্রেনে উদ্ধারকারী নৌকা এবং পানির পাম্প পাঠানো হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ওই বাঁধ গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে হাজার হাজার ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ৩২টি উদ্ধারকারী নৌকা, ১৫টি পানির পাম্প এবং ১৮০টি লাইফ জ্যাকেট পাঠানো হচ্ছে।
নোভা কাখোভকা জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ ধ্বংসের কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে ভেসে যাওয়া স্থল মাইনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না ও এ থেকে আরও বড় বিপর্যয় ঘটার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা রেড ক্রস।
সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধকবলিত এসব এলাকায় বিপুল সংখ্যক মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল। বন্যার পানিতে এসব এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর ফলাফল ভয়ানক হতে পারে।
আরও পড়ুন: খেরসনে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া মাইনগুলো থেকে বড় বিপদের শঙ্কা
রেড ক্রসের কর্মকর্তা এরিক টোলেফসেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এসব মাইন যে শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে, তা নয়। বাইরে থেকে যারা সাহায্য করতে আসছেন, তাদের জন্যও এসব মাইন বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এরিক আরও বলেন, আগে আমরা মাইনগুলোর অবস্থান জানতাম, কিন্তু এখন শুধু জানি, এগুলো পানির নিচে কোথাও এক জায়গায় রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা বাইরে থেকে আসা সাহায্যকারীরা এগুলোর সংস্পর্শে এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
টিটিএন