বাসর ঘরে হার্ট অ্যাটাকে বর-বউয়ের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ০৫ জুন ২০২৩
প্রতীকী ছবি

বিয়ের পর বাসর ঘরে ঢুকলেন সুস্থ-সবল বর-বধূ। পরদিন ঘরের ভেতর মিললো তাদের মরদেহ। দুজনেরই মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক। তারচেয়েও আশ্চর্যের বিষয়, তাদের মৃত্যুও হয়েছে একই সময়ে। ২৪ বছরের বর ও ২২ বছরের কনে- কারোরই কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না, তাদের মরদেহের ওপর আঘাতের চিহ্ন নেই, বদ্ধ ঘরেও অন্য কেউ ঢোকেনি। ফলে নবদম্পতির এমন দুঃখজনক মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।

সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) ছিল প্রতাপ যাদব ও পুষ্পা যাদবের বিয়ের দিন। রাতভর বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরদিন সন্ধ্যায় বহরইচ জেলার কাসিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত গোন্ধিয়া গ্রামে বরের বাড়িতে ফেরেন তারা।

আরও পড়ুন>> দুই নারীর বিয়ের সাক্ষী এবার কলকাতা

কায়সারগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক রাজনাথ সিং জানান, বুধবার ছিল প্রতাপ-পুষ্পার বাসর রাত। দুদিন ধরে ক্লান্তিকর বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতে ঘুমাতে যান তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল হয়ে গেলেও কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। ফলে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকদের। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে নতুন বর-বউকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন>> পালানোর চেষ্টা করছিলেন বর, ২০ কিমি তাড়া করে ফিরিয়ে আনলেন কনে

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে পাওয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের নমুনা সংরক্ষণ করেছেন। কারণ তারাও এই মৃত্যুতে হতবাক।

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যদিও ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ বা নবদম্পতির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, কিন্তু একই সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি কিছু আশঙ্কা জাগিয়েছে। এ দম্পতি তাদের মৃত্যুর একদিন আগে কী কী করেছিল, আমরা এখন তার টাইমলাইন তৈরি করছি।

আরও পড়ুন>> স্বামী থাকবে, প্রেমিককেও চাই: দুই বিয়ের দাবিতে থানায় হাজির তরুণী

তারা বুধবার কী কী খেয়েছিলেন সেটিও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাদের মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে ঘর ও পরিস্থিতি পরীক্ষা করছে।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।