ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনায় জো বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ
ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও আমি মর্মাহত। এ দুর্ঘটনায় যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন ও আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইলো। এ ঘটনায় ভারতের জনগণের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণও শোকাহত।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনা: দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মোদীর
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বরের বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের কাছে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এএফপি ও এএনআইয়ের খবর অনুসারে, এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। এটিকে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বলা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্ত বলছে, সংকেতে বিভ্রাট থেকে এ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভারতের রেল কর্তৃপক্ষের তদন্ত দলের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসকে মূল লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার সংকেত দেওয়া হয়।
এরপরই আবার সংকেত তুলে নেওয়া হয়। এর পরপরই ট্রেনটি তখন স্টেশন এলাকার বাড়তি লাইনে (লুপ লাইন) ঢুকে গিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়। ট্রেনটির ২৩টি বগির মধ্যে ১৫টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পাশের ডাউন লাইনে ও নর্দমার মধ্যে গিয়ে পড়ে। তখন পাশের সেই লাইন দিয়ে আসছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি মানুষের ভুল, উঠেছে প্রশ্ন
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত যেসব বগি ডাউন লাইনের ওপর পড়েছিল, সেগুলোতে গিয়ে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতে হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এদিকে, উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ দুর্ঘটনার কারণ জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপ-হাইকমিশনের মুখপাত্র রঞ্জন সেন। তারা হলেন রাজশাহীর রাসেলুজ্জামান ও বগুড়ার হাবিবুর রহমান। তারা চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে চেন্নাই রওয়ানা হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া যাত্রীর লোমহর্ষক বর্ণনা
জানা গেছে, দুর্ঘটনায় দুজনই মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে উড়িষ্যার বালেশ্বরের ফকির মোহন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কটকের শ্রীরাম চন্দ্র ভঞ্জ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ফকির মোহন মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক টি সুরেশ কুমার গুপ্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দুই বাংলাদেশি আমাদের এখানে ভর্তি হন। দুজনের শরীরের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ত্বকের অবস্থাও ভালো নয়।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ/এমএস