ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি মানুষের ভুল, উঠেছে প্রশ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ০৩ জুন ২০২৩
ফাইল ছবি

ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে বহু। তবে কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। এটি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয়েছে নাকি মানুষের ভুলে। এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার মনে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন কীভাবে করমন্ডল শালিমার এক্সপ্রেস স্থির পণ্যবাহী ট্রেনের লাইনে চলে গেলো। এক্ষেত্রে সংকেতজনিত ভুল ছিল বলে মনে করছেন অনেকে।

আরও পড়ুন>উদ্ধার অভিযান শেষ, নিহতের সংখ্যা ২৬১

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুর্ঘটনার আগে ভুল লাইনে প্রবেশ করে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা ও পুলিশ জানিয়েছে, করমন্ডল এক্সপ্রেস চেন্নাইয়ের দিকে মূল লাইনে যাওয়ার পরিবর্তে লুপ লাইনে প্রবেশ করে একটি স্থির পণ্যবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। এটা সংকেতজনিত ভুল বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>ঘটনাস্থলে যাবেন নরেন্দ্র মোদী, উড়িষ্যায় এক দিনের শোক

তবে ঠিক কী কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটলো তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সোয়া ৩টা নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে উড়িষ্যার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি।

স্থানীয় সূত্র বলছে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে থেকে চলতে থাকা একটি মালগাড়ির পেছনে। আঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়। ২৩টি বগির মধ্যে ১৫টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পাশের ডাউন লাইনে ও নর্দমার মধ্যে গিয়ে পড়ে। তখন পাশের সেই লাইন দিয়ে আসছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত যেসব বগি ডাউন লাইনের ওপর পড়েছিল, সেগুলোতে গিয়ে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতে হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

এমএসএম

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।