২২ বছর কোমায় থাকার পর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ০১ জুন ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

মার্কিন বংশোদ্ভূত এক ইসরায়েলি নারী দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কোমায় ছিলেন। অবশেষে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হতে হলো তাকে। দুই দশকের বেশি সময় আগে জেরুজালেমের একটি পিজ্জা রেস্টুরেন্টে এক আত্মঘাতী হামলার শিকার হন তিনি। এরপর বছরের পর বছর ধরে কোমায় থাকতে হয়েছে তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না ওই নারীকে। খবর বিবিসির।

জেরুজালেমের সারো পিজেরিয়ায় ২০০১ সালের আগস্টে যখন হামলা চালানো হয় সে সময় ছানা নাচেনবার্গের বয়স ছিল ৩১ বছর। ওই হামলায় সাত শিশু এবং এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১৫ জন নিহত হয়। ওই হামলায় তিনি ছাড়াও আরও দুই মার্কিন নাগরিক নিহত হন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ নিহত ৬

ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আহলাম তামিমি নামের এক নারীকে ২০০৪ সালে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েলের একটি আদালত। তার জন্ম পশ্চিম তীরে এবং তার জর্ডানের নাগরিকত্বও ছিল। ২০১১ সালে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি মুক্তি পান।

ইজ আল-দিন শুহেইল আল-মাসরি নামের এক ব্যক্তি ওই হামলা চালিয়েছেন বলে পরবর্তীতে জানা যায়। ওই হামলাকারীকে সহায়তা করেছিলেন তামিমি। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি জর্ডানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ভয়াবহ ওই হামলার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন বরং গর্বিত বলে জানিয়েছেন তামিমি নিজেই। এদিকে এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকায় তামিমির নাম রয়েছে।

আরও পড়ুন: শিগগির তুরস্কে যাবেন পুতিন-জেলেনস্কি

সারো নামের যে রেস্টুরেন্টে হামলা চালানো হয় সেটি পশ্চিম জেরুজালেমের একটি ব্যস্ত এলাকায় অবস্থিত। হামলার সময় ওই রেস্টুরেন্টে প্রচুর লোকজনের ভিড় ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০০১ সালের ৯ আগস্ট ওই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন তামিমি এবং মাসরি।

তামিমি প্রথমে হামলার টার্গেট নির্ধারণ করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে মাসরি সেখানে আত্মঘাতী হামলা চালান। ওই হামলায় প্রায় ১৩০ জন আহত হয়।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।