সুন্দরী প্রতিযোগিতা

স্ত্রী দ্বিতীয় হওয়ায় বিজয়ীর মুকুট আছড়ে ভাঙলেন স্বামী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ৩০ মে ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় স্ত্রী দ্বিতীয় হয়েছেন, তা কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন এক প্রতিযোগীর স্বামী। ফলে রেগে মঞ্চে উঠে বিজয়ী প্রতিযোগীর মুকুট ছিনিয়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলেন তিনি। সম্প্রতি ব্রাজিলের একটি এলজিবিটিকিউ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ঘটেছে এমন ঘটনা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর খবর অনুসারে, গত শনিবার (২৭ মে) ছিল মিস গে মাতো গ্রসো ২০২৩ প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে। এতে দুই ফাইনালিস্ট হিসেবে মঞ্চে ছিলেন নাথালি বেকার এবং ইমানুয়েলি বেলিনি।

আরও পড়ুন>> দুই নারীর বিয়ের সাক্ষী এবার কলকাতা

বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে উপস্থিত দর্শকরা করতালি দিয়ে উভয় প্রতিযোগীকে উৎসাহিত করেন। শেষপর্যন্ত বিচারকদের বিচারে বিজয়ী হিসেবে উঠে আসে বেলিনির নাম।

jagonews24বিজয়ী ইমানুয়েলি বেলিনি ও রানার্সআপ নাথালি বেকার।

নিয়ম অনুসারে, বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু তাতে বাগড়া দেন রানার্সআপ বেকারের স্বামী।

তিনি হঠাৎ মঞ্চে লাফিয়ে ওঠেন এবং বিশেষ অতিথির হাত থেকে মুকুট কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলেন। তার এমন কাণ্ডে দর্শকদের পাশাপাশি বেকারও হতভম্ব হয়ে যান।

আরও পড়ুন>> স্বামী থাকবে, প্রেমিককেও চাই: দুই বিয়ের দাবিতে থানায় হাজির তরুণী 

মুকুট ভাঙার পর স্ত্রীর হাত ধরে টানতে টানতে মঞ্চ থেকে নেমে যাচ্ছিলেন ক্ষিপ্ত ওই ব্যক্তি। এসময় মঞ্চে পড়ে থাকা মুকুটটি তুলে আবারও আছাড় মারেন তিনি। এর ফলে সেটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

এর পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে আসেন এবং ওই ব্যক্তিকে টেনে মঞ্চের পেছেনে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন>> পালানোর চেষ্টা করছিলেন বর, ২০ কিমি তাড়া করে ফিরিয়ে আনলেন কনে

প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ম্যালোন হেনিশ পরে এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি (বেকারের স্বামী) এই ফলাফলকে ন্যায্য মনে করেননি এবং সে কারণেই এই সমস্যা ও ক্ষতি করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

আয়োজকদের মতে, বিচারকরা সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমেই বেলিনিকে বিজয়ী নির্বাচিত করেছিলেন।

সূত্র: এনডিটিভি, ডেইলি মেইল
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।