প্রকাশ্যে ধূমপান
পেট্রাপোল স্থলবন্দরে জরিমানা গুনলেন বাংলাদেশিরা
প্রকাশ্যে ধূমপান করার অপরাধে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে জরিমানা গুনতে হয়েছে ধূমপায়ীদের। শনিবার (২৭ মে) পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ধূমপানবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা করা হয়। এ থেকে ছাড় পাননি বাংলাদেশি পর্যটকেরাও। হঠাৎ এ ধরনের অভিযান চালানো নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
জানা যায়, এদিন বনগাঁ থেকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত ধূমপানবিরোধী অভিযান চালায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর। এসব এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান করছিলেন কিছু মানুষ। তাদের সবাইকে ৫০ রুপি করে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন>> তামাকজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন মারা যান ৪৫০ জন
ছাড় পাননি সীমান্ত পার হওয়া বাংলাদেশি পর্যটকেরাও। তারাও ৫০ রুপি করে জরিমানা দিয়েছেন। দীর্ঘপথ যাত্রার পর পেট্রাপোল স্থলবন্দর পার হয়ে যারা বিড়ি কিংবা সিগারেট ধরিয়েছিলেন, তাদের ধরে জরিমানা করেন ধরে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তাদের জরিমানার রসিদও দেন এবং বুঝিয়ে বলেন, ধূমপান করলে শরীরের কতটা ক্ষতি হয়।
পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, সারাবিশ্বে ধূমপায়ীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। তারা সচেতন হচ্ছে। আমাদের এই সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশিরা আসছে, যাচ্ছে। এখানে ধূমপান করা যাবে না, এটি সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে জানানো হয়নি বা প্রচার হয়নি। সরকারের উচিত মানুষকে সচেতন করার জন্য এসব এলাকায় প্রচারণা চালানো।
আরও পড়ুন>> সিগারেট সেবনে ৪০ শতাংশ মানুষ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
তিনি আরও বলেন, জরিমানা করে ধূমপান আটকানো যাবে না। পেট্রাপোল স্থলবন্দর এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম বন্দর। যারা আসেন তারা এখানকার নিয়মকানুন জানেন না। তারা প্রকাশ্যে ধূমপান করতে পারেন। তাই সচেতনতার প্রচার বিশেষভাবে দরকার।
এদিন প্রকাশ্যে ধূমপান করার অপরাধে জরিমানা হয় বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুর ইসলামকে। জরিমানা দেওয়ার পর তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান করা ঠিক না। তবে এটি সবাইকে জানানোর জন্য মাইকিং করা দরকার ছিল। আমার এই নিয়ম জানা ছিল না। ধূমপান করায় আমার কাছ থেকে ৫০ রুপি জরিমানা নিয়েছে।
আরও পড়ুন>> আগামী অধিবেশনেই তামাক আইনের সংশোধনী পাসের দাবি
এ ব্যাপারে উত্তর ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তা কোনো বক্তব্য দেননি। তবে এলাকার সাধারণ মানুষ এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের অভিমত, এমন অভিযান নিয়মিত চললে ধূমপায়ীদের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমবে।
ডিডি/কেএএ/