চাকরির নামে টাকা গ্রহণ, নেতার বাড়ি দখলে নিলো প্রতারিতরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১০ এএম, ২৭ মে ২০২৩
প্রতীকী ছবি

স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে নয়জনের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়েছিলেন স্থানীয় এক নেতা। কিন্তু চাকরি মেলেনি, টাকাও ফেরত পাননি প্রতারিতরা। শেষ পর্যন্ত তারা সেই নেতার বাড়ির একাংশে ইটের দেওয়াল গেঁথে দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের চারঘাট পঞ্চায়েতে ঘটেছে এ ঘটনা।

স্থানীয় কয়েক যুবকের অভিযোগ, ২০১৯ সালে চারঘাট পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস ও তার স্বামী নিখিলরঞ্জনকে কয়েক দফায় প্রায় ৫৩ লাখ রুপি দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু কেউই প্রতিশ্রুত চাকরি পাননি। এরপর একাধিকবার চেয়েও অর্থ ফেরত মেলেনি।

ওই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, কয়েক মাস আগে সালিশি সভায় পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামী অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য পাঁচ মাস সময় নিয়েছিলেন। তার মধ্যে অর্থ ফেরত দিতে না পারলে বাড়ির একাংশ এবং নিজেদের ছয় শতক জমি মোহম্মদ মাজহারসহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর নামে ছেড়ে দেবেন বলে তারা লিখিত দিয়েছিলেন।

কিন্তু পাঁচ মাস কেটে গেলেও অর্থ ফেরত পাননি কেউ। অভিযোগ, ‘লিখিত চুক্তি’ মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে মাজহার ও অন্য কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী মিলে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির একটি অংশ ইট দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রধান ও তার স্বামী এরই মধ্যে এলাকা ছেড়েছেন। দখলের সময় বাড়িতে কয়েকজন নারী ছিলেন শুধু। তারা বাধা দিলেও যুবকেরা কাজ চালিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।

জমি-বাড়ির একাংশ দখল নেওয়ার কথা অস্বীকার করেননি মোহাম্মদ মাজহার। তিনি বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ নিয়েছিলেন প্রধান ও তার স্বামী। অর্থ ফেরত দিতে না পারলে জমি-বাড়ির কিছু অংশ লিখে দিতে চেয়েছিলেন। তাই আমরা জমির একটি অংশে প্রাচীর তুলেছি।

পুলিশের কাছে যাচ্ছেন না কেন? জবাবে মাজহারদের বক্তব্য, কয়েক মাস আগে অভিযোগ করা হয়েছিল থানায়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামীকে এর আগে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল।

কিন্তু এভাবে কারও অনুপস্থিতিতে বাড়ির দখল নেওয়া বেআইনি কি নয়? পুলিশের বক্তব্য, জমি দখল করা হচ্ছে বলে মালিকের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তাছাড়া আদৌ একে দখল বলা যাবে, নাকি সত্যিই কাগজে-কলমে সম্পত্তি হস্তান্তর হয়েছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। ফলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত প্রধান বা তার স্বামী লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।