এখনো করোনাভাইরাসে প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৯ পিএম, ২৪ মে ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

তিন বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বকে ভুগিয়েছে করোনাভাইরাস। লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে অবশেষে কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে এই অতিসংক্রামক ব্যাধি। বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যেই কোভিড সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আশঙ্কার কথা হচ্ছে এখনো পর্যন্ত করোনায় প্রাণহানি থেমে নেই। এখনও প্রতি চার মিনিটে একজন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

কীভাবে এই ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে তা আজও অজানাই রয়ে গেছে। দূর্বল জনগোষ্ঠী এবং যেসব দেশে টিকার হার কম তারা এখনও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন।

আরও পড়ুন: দিনমজুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি রুপি!

এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হলো এমন একটি ভাইরাসকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় যেটি বেশিরভাগ মানুষের জন্য কম হুমকি হলেও জনসংখ্যার একটি অংশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক থেকেই যাচ্ছে? বিষয়টি অনেকেই হয়তো উপলব্ধি করতে পারবেন না। কোভিড এখনও একটি নেতৃস্থানীয় ঘাতক ব্যাধি হিসেবেই রয়ে গেছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

এ বিষয়ে মিসৌরিন ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স সেন্ট লুইস হেলথ কেয়ার সিস্টেমের ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজি সেন্টারের পরিচালক জিয়াদ আল আলি বলেন, বিশ্বের সাধারণ মানুষের এখন একটাই আকাঙ্ক্ষা, মহামারিকে ছাড়িয়ে যাওয়া এবং কোভিডকে আমাদের পেছনে ফেলে আসা। কিন্তু এটা আসলে এতটা সহজও নয়। এখনও অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আমাদের ওপর থেকে এই বোঝা কমাতে হবে।

আরও পড়ুন: শিকাগো বিমানবন্দরে তুমুল মারামারির ভিডিও ভাইরাল

যদিও চলতি মাসের শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, কোভিড এখন আর জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিস্থিতিতে নেই। এমনকি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের সরকার লকডাউন এবং বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে।

পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৯১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮। এর মধ্যে মারা গেছে, ৬৮ লাখ ৮১ হাজার ৪০১ জন। তবে ইতোমধ্যেই এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ৬৬ কোটি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৯ জন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।