পরবর্তী মহামারির জন্য সতর্ক করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ২৪ মে ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

পরবর্তী মহামারির জন্য সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। এক সতর্ক বার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এই মহামারি কোভিড-১৯ এর চেয়েও মারাত্মক হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন এক সময়ে তিনি এই সতর্কতা জারি করলেন যখন বিশ্বজুড়ে কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।

তার মতে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি সতর্কতার ক্ষেত্রে কোভিড-১৯য়ের সমাপ্তি মানেই এই ভাইরাস আর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয় এমনটা নয়। অপর একটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি রয়ে গেছে যা নতুন করে রোগ এবং মৃত্যুর উত্থান ঘটাতে পারে। আরও মারাত্মক সম্ভাবনাসহ আরও রোগজীবাণুর প্রাদুর্ভাব হওয়ার হুমকি রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

আরও পড়ুন: শিকাগো বিমানবন্দরে তুমুল মারামারির ভিডিও ভাইরাল

৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি সতর্ক করে বলেন, যখন পরবর্তী মহামারি আঘাত হানবে এর জন্য আমাদের আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অধীনে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত লক্ষ্যগুলোর জন্য কোভিড-১৯-এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: এখনো করোনাভাইরাসে প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু

এই মহামারি ২০১৭ বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে ঘোষণা হওয়া ট্রিপল বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতিকেও প্রভাবিত করেছে। ইতোমধ্যেই একশ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত রয়েছেন। পাঁচ বছরের উদ্যোগে আরও একশ কোটি মানুষের সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারি আমাদের পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু এটা আমাদের দেখিয়েছে যে, কেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই থাকবে এবং কেন আমরা মহামারি মোকাবেলা করার জন্য একই তাড়না ও সংকল্প অনুসরণ করবো।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।