প্রেম থেকে পরিণয়

দুই নারীর বিয়ের সাক্ষী এবার কলকাতা

ধৃমল দত্ত
ধৃমল দত্ত ধৃমল দত্ত , পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ২৩ মে ২০২৩

এটি আর পাঁচটা মেয়ের গল্পের মতো নয়। এ এক অন্য ধরনের ভালোবাসার কাহিনি। অনলাইনে ডেটিং অ্যাপে পরিচয়, সেই থেকে তিল তিল করে গড়ে ওঠে ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার টানেই গত রোববার (২১ মে) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে মৌমিতা মজুমদার ছুটে আসেন কলকাতায় মৌসুমী দত্তের কাছে। তবে দুই নারীর ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবারের সদস্যরা। তবু ভালোবাসা বাধা মানেনি। মন্দিরে মালাবদল করে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।

মৌসুমী জানান, দু’মাস আগে তাদের পরিচয় হয় ডেটিং অ্যাপে। তারপর থেকেই শুরু হয় চ্যাটিং। ধীরে ধীরে দুজনেই জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। ভালোবেসে ফেলেন দুজন দুজনকে।

আরও পড়ুন>> বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাবির সঙ্গে নাচ, দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা!

মৌসুমীর কথায়, পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না, তেমনি মৌমিতাকে ছাড়া আমিও বাঁচবো না।

jagonews24

প্রেমিক যুগল পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের ভালোবাসার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু দু’পক্ষ থেকেই পরিষ্কার উত্তর, তোমরা দুজনেই নারী। এই সম্পর্ক সমাজ ও আমরা কেউ মেনে নেবো না।

আরও পড়ুন>> স্বামী থাকবে, প্রেমিককেও চাই: দুই বিয়ের দাবিতে থানায় হাজির তরুণী

শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে মৌসুমি ও মৌমিতা সিদ্ধান্ত নেন, পালিয়ে বিয়ে করবেন। সেই মোতাবেক মন্দিরে গিয়ে মালাবদল করে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেন তারা।

jagonews24

মৌমিতা বলেন, আমরা জানি সমাজ আমাদের মানবে না। কিন্তু আমি ওর সঙ্গে থাকতে চাই। বাঁচলে ওর সঙ্গে বাঁচবো, মরলে মরবো ওর সঙ্গে মরবো। প্রশাসন যদি আমাদের মেরে ফেলতে চায়, তাহলে দুজনকে একসঙ্গে মারতে হবে। আর বাঁচিয়ে রাখতে হলে দুজনকে একসঙ্গে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন>> ৬০ বছর পর বিয়ের বন্ধনে প্রেমিক-প্রেমিকা

মৌসুমী দত্ত বলেন, যদি বড় ধরনের কোনো বাধা আসে, তাহলে দুজনে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে লড়াই করবো।

মৌসুমী-মৌমিতার বিয়ে নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে গোটা শহরে। এই বিয়ে দুই পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেললেও কলকাতা ঠিকই সাক্ষী হয়ে রইলো অন্য ধরনের এক ভালোবাসার আপাত সফল পরিণতি হিসেবে।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।