ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, মৃত্যু ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ১৫ মে ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূল। বিশেষ করে রাখাইন রাজ্য। রোববার (১৪ মে) বিকেলের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সেখানে আঘাত হানে। এ ঘটনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার সকালের দিকে পানিতে আটকে পড়া আরও প্রায় এক হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়। এতে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সেখানের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে মোখা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে কতটা প্রভাব ফেলেছে তার বাস্তব চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি।

সিটওয়েতে রাখাইন যুব সমাজের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রবল বাতাসের মধ্যে মঠ, প্যাগোডা ও স্কুলের মতো শক্ত ভবনে যারা আশ্রয় নিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্তত ৭০০ মানুষ আহত হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়।

সংবাদমাধ্যম এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কমপক্ষে ১০ নিম্নাঞ্চল তালিয়ে গেছে। মোখার আঘাত থেকে বাঁচতে অনেকেই বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিল।

আরও পড়ুন>ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে প্রাণহানি, ভূমিধস-ভারী বন্যার আশঙ্কা

সোমবার সকালেও প্লাবিত এলাকায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত পানি দেখা যায়। তবে বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ওই নেতা বিভিন্ন সংগঠন ও কর্তৃপক্ষকে উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায্যের আবেদন জানান।

মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে মিয়ানমার উপকূলে মোখা আঘাত হানে।

এদিকে মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরকে দুর্যোগপূর্ণ ঘোষণা করেছে।

মিয়ানমারের সামরিক তথ্য অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সিটওয়ে, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে ঘরবাড়ি ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কোকো দ্বীপপুঞ্জে অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

সূত্র: এপি

এমএসএম

 

 

 

 

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।