মমতার নির্দেশে অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ০৬ মে ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই নোটিশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়া অমর্ত্য সেনের পক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী বুলডোজার নিয়ে ভাঙতে এলে রুখে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা।

এ বিষয়ে তিনি বেশ কড়া বার্তা দিয়েছেন। অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে বাউল শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করার ঘোষণাও দেন তিনি। সে অনুযায়ী, শনিবার (৬ মে) বোলপুর শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি পেলেন অমর্ত্য সেন

এই প্রতিবাদ সভায় বাউল শিল্পীদের সঙ্গে উপস্থিত আছেন, পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন সহ-অন্যান্যরা। শনিবার সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে বীরভূম জেলার তৃনমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীদের ভিড় করতে দেখা যায়।

এর আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি প্রতীচীর ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ পাঠায়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রিভাসরঞ্জন দে বিশ্বভারতীর নির্দেশের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।

গত শুক্রবার (৫ মে) মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার সফর শেষে ট্রেনে করে কলকাতা ফেরার পথে বোলপুর রেলওয়ে স্টেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, অমর্ত্য সেনের বাড়িতে হাত দিলে, আমাকে তো চেনে না, আমি যা দেব না। এছাড়া বাউল শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে কিভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করতে হবে সে বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের বলে গেছেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে পানি দিলে আমার আপত্তি নেই: মমতা

অপরদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতী সাংসদ দীলিপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যত চোরদের সঙ্গে থাকে। কোনোও ভদ্র-সভ্য লোকের সঙ্গে থাকে না। গরিব মানুষদের সঙ্গে থাকে না। তৃণমূল যেমন সরকারি-বেসরকারি জমি রাজ্যজুড়ে লুট করে, তারা তো তাদের সঙ্গে থাকবেই। বাংলার গৌরব মানে বাংলা লুঠ করার অধিকার কেউ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেসকে।

এরপর দীলিপ ঘোষ অমর্ত্য সেনের জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে বলেন, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন এটা রেকর্ড। জমিটা ছেড়ে দিলেই মিটে যায়। একজন নোবেলজয়ী যদি জোর করে জমি দখল করে রাখেন। আর সেই জমি নিয়ে এমন বিতর্ক হয়, তার মোটেও গৌরবের নয়।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।