এবার তাইওয়ান ইস্যুতে চীনকে সতর্ক করলো যুক্তরাজ্য
তাইওয়ান ইস্যুতে বরাবরই চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার একই পথে হাঁটছে যুক্তরাজ্যও। তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের হামলার বিষয়ে মঙ্গলবার বেইজিংকে সতর্ক করেছে ব্রিটেন। চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা যদি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয় তবে তা অভ্যন্তরীণ এবং বিশ্বব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করবে।
বৈদেশিক নীতি বিষয়ে এক বিবৃতিতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেন, সার্বভৌমত্বের যেসব দাবি সেগুলোতে শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় লন্ডন।
আরও পড়ুন: জাপানের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র তিনি
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে থাকে চীন। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে ওই অঞ্চল দখল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে তারা। চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনা বাহিনী তাইওয়ানের জলসীমায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তবে তাইওয়ান চীনের এ দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানিজ নেতাদের সঙ্গে বিদেশি শীর্ষ নেতা ও কর্মকর্তাদের বৈঠকের তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং।
জেমস ক্লেভারলি সতর্ক করে বলেন, তাইওয়ান প্রণালীতে যে কোনো ধরনের সংঘাত বিশ্বের সাপ্লাই চেইনে বিশেষ করে উন্নত সেমি-কন্ডাক্টরগুলোর ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে যে কোনো ধরনের সংঘাত-যুদ্ধ শুধু মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে না বরং তা ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশ্ব বাণিজ্যকে ধ্বংস করবে। এর ফলে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে কোনো দেশই নিজেকে সেটা থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ভিডিও দেখার সময় হাতে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ, নিহত আট বছরের শিশু
এদিকে গত শুক্রবার সাংহাইয়ে ল্যানটিং ফোরামে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বলেন, তাইওয়ান প্রণালীর উভয় পাশ চীনের। তাছাড়া, নিজের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখা চীনের অধিকার এবং এটি করতে যা যা করা দরকার, তা করা উচিত। আর যারা তাইওয়ান নিয়ে আগুন আগুন খেলবে, শেষ পর্যন্ত তারা নিজেরাই পুড়ে যাবে।’
ফোরামে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ তাইওয়ান নিয়ে বিস্তারিতে আলোচনা করেন কিন। এসময় তিনি বলেন, চীনের বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এমনকি, এর পক্ষে যেসব যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো অবাস্তব এবং চীনের বিরুদ্ধে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বিপজ্জনক।
টিটিএন